ভোটারপ্রতি সর্বোচ্চ ৫ টাকা ব্যয় করতে পারবেন প্রার্থীরা

নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীরা ভোটারপ্রতি সর্বোচ্চ পাঁচ টাকা হিসেবে নির্বাচনী ব্যয় করতে পারবেন। তবে বেশি ভোটারের আসনে পাঁচ টাকা হিসাবে ব্যয়সীমা ১৫ লাখ অতিক্রম করলেও গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ মেনে খরচ ১৫ লাখের মধ্যেই রাখতে হবে। নির্বাচন কমিশন বৃহস্পতিবার দেশের তিনশ আসনে ভোটারভিত্তিক ব্যয়সীমা নির্ধারণের প্রজ্ঞাপন জারি করে। >>সংসদের ৩০০ আসনে প্রার্থীর নির্বাচনী ব্যয় জানতে ক্লিক করুন

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 Nov 2008, 09:18 AM
Updated : 6 Nov 2008, 09:18 AM
ঢাকা, নভেম্বর ৬ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীরা ভোটারপ্রতি সর্বোচ্চ পাঁচ টাকা হিসেবে নির্বাচনী ব্যয় করতে পারবেন। তবে বেশি ভোটারের আসনে পাঁচ টাকা হিসাবে ব্যয়সীমা ১৫ লাখ অতিক্রম করলেও গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ মেনে খরচ ১৫ লাখের মধ্যেই রাখতে হবে।
নির্বাচন কমিশন বৃহস্পতিবার দেশের তিনশ আসনে ভোটারভিত্তিক ব্যয়সীমা নির্ধারণের প্রজ্ঞাপন জারি করে।
সর্বোচ্চ ভোটারের আসন ঢাকা- ১৯ (আমিনবাজার- তেঁতুলঝোড়া-ভাকুর্তা) এ ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ব্যয়সীমা নির্ধারণ করেছে ইসি। আর সবচেয়ে কম ভোটারের আসন ঝালকাঠি- ১ (রাজাপুর-কাঠালিয়া) এ ব্যয়সীমা হবে ছয় লাখ ৮৫ হাজার টাকা পর্যন্ত।
কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব (নির্বাচন) ফরহাদ আহম্মদ খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "আসন্ন নির্বাচনে ভোটারপ্রতি প্রার্থীদের নির্বাচনী ব্যয় নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে। ঢাকা-১৯ আসনে সবচেয়ে বেশি ভোটার থাকায় প্রার্থীরা সর্বোচ্চ ১৫ লাখ টাকা ব্যয় করতে পারবেন। আর ব্যয়ের সীমা সবচেয়ে কম থাকবে ঝালকাঠি- ১ আসনে।"
নির্বাচনের এ বিধি লঙ্ঘিত হচ্ছে কিনা- সেটি পর্যবেক্ষণে প্রতি জেলায় দু'জন 'ইলেকশন মনিটরিং কর্মকর্তা' আছেন বলে জানান তিনি।
ফরহাদ আহম্মদ খান জানান, নির্বাচন বিধিমালা অনুযায়ী প্রার্থীর এজেন্ট এ টাকা খরচ করতে পারবে। এছাড়া প্রার্থীর কাছ থেকে লিখিতভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কেউ মনোহরী দ্রব্য, ডাকটিকেট কেনা, টেলিফোন বিল ও অন্যান্য ছোটখাটো খাতে অর্থ ব্যয় করতে পারবেন।
এবার ঢাকা- ১৯ আসনে মোট ভোটার ছয় লাখ দুই হাজার ৩৮৬ জন এবং সর্বনিম্ন ঝালকাঠি- ১ আসনে এক লাখ ৩৭ হাজার ৯২ জন।
ঢাকা- ১৯ আসনে ভোটার সংখ্যার হিসেবে ব্যয়সীমা ৩০ লাখ ১১ হাজার ৯৩০ টাকা হলেও গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের বিধানের কারণে সেখানকার প্রার্থীরা ১৫ লাখ টাকার চেয়ে বেশি ব্যয় করতে পারবেন না।
এ বিষয়ে ফরহাদ আহম্মদ খান বলেন, ''ভোটারপ্রতি ব্যয়ের হিসাব যাই হোক না কেনো বড় নির্বাচনী এলাকায় প্রার্থীদের ব্যয় ১৫ লাখ টাকার বেশি হতে পারবে না। নিবন্ধিত দলের মনোনীত প্রার্থী হলে দলের অনুদানও এ হিসাবের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত থাকবে।"
নির্বাচনের ফল ঘোষণার ৩০ দিনের মধ্যে ব্যয়ের হিসাব কমিশনে দাখিল করতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, "তখন কোনো অনিয়ম ধরা পড়লে প্রার্থিতা বাতিল করা হবে।"
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/এমএইচসি/এসএনডি/২১১৪ ঘ.