অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে বৃহস্পতিবার এক পরিপত্র জারি করে তা কমানো হয়।
মুখ্য সচিব আহমেদ কায়কাউস একদিন আগেই বলেছিলেন, সরকারি কর্মকর্তাদের জ্বালানি খরচ কমাতে অর্থ মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত জানাবে।
রাশিয়া-ইউক্রেইন যুদ্ধের কারণে বিশ্বের জ্বালানি বাজার অস্থির হয়ে পড়ায় ব্যয় সাশ্রয়ে নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার।
পরিপত্রে বলা হয়, বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অবস্থার প্রেক্ষাপটে সরকারি ব্যয়ে কৃচ্ছ সাধন এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানির সাশ্রয়ী ব্যবহার নিশ্চিতকল্পে ২০২২-২৩ অর্থবছরে সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানি ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটে কিছু খাতে বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয়ে সরকার নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
“পেট্রোল, ওয়েল, লুব্রিকেন্ট ও গ্যাস-জ্বালানি খাতে বরাদ্দকৃত অর্থের সর্বোচ্চ ৮০ শতাংশ ব্যয় করা যাবে।”
এবিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিব বলেন, সার্কুলার অনুযায়ী পুলের গাড়িগুলোর জ্বালানি খরচ ২০ শতাংশ কমবে। বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তারা এতদিন গাড়ির জ্বালানি হিসাবে যে অর্থ পেতেন, এখন থেকে সেখান থেকে ২০ শতাংশ কম পাবেন। তবে সরকারি ঋণ নিয়ে যেসব কর্মকর্তা গাড়ি কিনেছেন তাদের ক্ষেত্রে জ্বালানি খরচের এই সার্কুলার কার্যকর হবে না।
জ্বালানি খরচ কমাতে বিদ্যুৎ উৎপাদনও কমিয়েছে সরকার। ফলে লোড শেডিং ফিরেছে দেশে। বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে জনগণকেও অনুরোধ করা হচ্ছে।
পরিপত্রে সরকারি সংস্থাগুলোতে বিদ্যুৎ খাতে বরাদ্দকৃত অর্থের ২৫ শতাংশ সাশ্রয় করতে বলা হয়েছে।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বরাদ্দ অর্থ অন্য কোনো খাতে ব্যয় করা যাবে না বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন