শনিবার দেওয়া বিবৃতিতে সামাজিক আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক সালেহ আহমেদ হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের নিরাপত্তা এবং আহতদেরও চিকিৎসার দাবি জানান।
এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতিতে বলা হয়, ওই ঘটনার পর পুলিশ এখনও জড়িতের গ্রেপ্তার করতে পারেনি। উল্টো সংহিংসতার শিকার এক ব্যক্তি গ্রেপ্তার হয়ে পুলিশি হেফাজতে আছে।
আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে আরেক বিবৃতিতে বলেছে, “সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেয়া পোস্টকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়ে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা নতুন কিছু নয়। এর পূর্বেও আমরা এ ধরনের হামলা দেখেছি, যা অনভিপ্রেত এবং অগ্রহণযোগ্য। ইতোপূর্বে ঘটে যাওয়া একইধরনের অপরাধের দৃশ্যত কোনও বিচার দ্রুততম সময়ে না হওয়ায় অপরাধীরা এ ধরনের অপরাধ করে পার পেয়ে যাচ্ছে।
“তাই দ্রুততার সাথে এ হামলার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত এবং আইনানুগ শাস্তি নিশ্চিত করা অত্যাবশ্যকীয়। আসক একই সাথে উক্ত শিক্ষার্থী, তার পরিবার ও এলাকার অন্যান্য ধর্মীয় সংখ্যালঘু পরিবার ও সম্পত্তির নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানাচ্ছে।”
এক কলেজছাত্রের ফেইসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে দিঘলিয়ায় শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর থেকে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তার গ্রেপ্তার ও বিচার দাবিতে তাদের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ করেন বিক্ষুব্ধ লোকজন।
বিকালে উত্তেজনা আরও বাড়ে এবং সন্ধ্যায় তারা সাহাপাড়ার কয়েকটি বাড়িঘর ভাংচুর করে। পরে টিনের একটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে পুলিশ ও র্যাব মোতায়েন করা হয়।