এরা ছিনতাইয়ের পাশাপাশি বাস ও লেগুনার হেলপার, ওয়ার্কশপের শ্রমিক, দিনমজুর, টোকাই, মাছ বা কাঁচামালের আড়তে কাজ করে। প্রত্যেকে কাজের ফাঁকে ফাঁকে ছিনতাই করে আসছে বলে স্বীকার করেছে।
গ্রেপ্তাররা হলেন- মো. বোরহান (২৪), মো. ইমরান হোসেন (২৫), মো. তুহিন (২২), মো. জাহিদুল ইসলাম মাহমুদ (২০), মো. শিপন হুসাইন (২৩), মো. আশিকুর রহমান আশিক (২১), মো. শাহ জালাল (২৬), মো. মিরাজ (২১), মো. নুর নবী (২২), মো. আশিক (২০), মো. মেহেদী হাসান হৃদয় (২০), মো. শাকিল (২০), মো. আকবর আলী (২৪), মো. রাসেল খা (২৪), মো. রাসেল ব্যাপারী (২৮), মো. সুজন তালুকদার (২২), মো. বাবুল (২৪), টুকু মিয়া (২২), আব্দুল্লাহ (২২), মো. ফয়সাল (২৩), জহরুল মিয়া (২০), মো. পারভেজ (২৭), মো. আসিফ (২২), মো. নিশান উদ্দিন (৩০), মো. জুয়েল (৩৫), মো. বিজয় হোসেন (১৯), আবুল কাশেম (৪০), মো. শফিক উদ্দিন (২৫), মো. রানা (২৮), মো. মাহবুব (২৬) ও মো. শাকিল শেখ (২৫)।
গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে ৮টি বিষাক্ত মলম, ২টি লোহার রড, ১১টি ছুরি, ৩টি লোহা কাটার হ্যাকসো ব্লেড, ১০টি চাকু ও ৪টি গামছা এবং ছিনতাই করা ১৮টি মোবাইল ফোন উদ্ধারের দাবি করেছে র্যাব।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তারা কয়েকটি সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী দলের সক্রিয় সদস্য। দীর্ঘদিন ধরে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় তারা ছিনতাই করে আসছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, গুলশান এলাকার ছিনতাইকারী চক্রের মূল হোতা মো. বোরহান এবং তার সহযোগী তিনজন। বনানীতে শিপন হুসাইন ও নূর নবী মিলে পাঁচজন সহযোগীসহ একটি চক্র গড়ে তুলেছেন। ভাটারা এলাকার একটি চক্রের নেতৃত্বে রয়েছে মো. শাকিল। তার সহযোগী রয়েছেন তিনজন। একই এলাকার অন্য একটি চক্রের মূল হোতা সুজন তালুকদার এবং তার সহযোগী দুইজন। দুই সহযোগীসহ মো. আব্দুল্লাহ বাড্ডা এলাকার ছিনতাইকারী চক্রের নেতৃত্ব দেয়।
রাজধানীর বাইরে টঙ্গীতে আব্দুল্লাহ তিনজন সহযোগীসহ গড়ে তুলেছেন একটি চক্র। আর সেখানে অন্য একটি ছিনতাইকারী চক্রের মূল হোতা মো. পারভেজ এবং তার সহযোগী দুইজন।তুরাগ এলাকায় নেতৃত্ব দেন মো. রানা এবং তার সহযোগী রয়েছেন দুইজন।
র্যাব বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, তারা প্রত্যেকে মাদকাসক্ত ও দীর্ঘদিন ধরে ডান্ডি, ইয়াবা ও গাঁজাসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক সেবন করে আসছে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে।
এদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।