যুক্তরাষ্ট্রে বসে দাপ্তরিক কাজ করার অনুমতি চেয়ে ঢাকা ওয়াসা বোর্ডে আবেদন করেছেন তাকসিম। বৃহস্পতিবার বিকালে অনুষ্ঠেয় বোর্ডের ২৯৩তম সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা। সভায় ওয়াসা এমডির আবেদন মঞ্জুর হলে তিনি যুক্তরাষ্ট্র থেকে দাপ্তরিক কাজ সারতে পারবেন।
ব্যয় সংকোচন করতে সরকারি কর্মকর্তাদের অপ্রয়োজনীয় বিদেশ সফরে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছে সরকার। এ বিষয়ে গত ১৬ মে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যয় ব্যবস্থাপনা শাখা থেকে একটি পরিপত্রও জারি করা হয়।
সেখানে সরকারি কর্মকর্তাদের পাশাপাশি স্বায়ত্তশাসিত, আধা সরকারি প্রতিষ্ঠান, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানি, ব্যাংক এবং অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের ক্ষেত্রেও বিদেশ ভ্রমণ সীমিত করার কথা বলা হয়েছে।
ঢাকা ওয়াসা বোর্ডের সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ওয়াসা বোর্ডের মিটিংয়ের কার্যসূচিতে এমডির ছুটির বিষয়টি রয়েছে। তিনি এমন একটা বিষয় বলেছেন। বিকেলে আমাদের মিটিং আছে, দেখি সেখানে কী হয়।”
কোনো সিদ্ধান্ত অনুমোদনের জন্য ১৩ সদস্যের এ বোর্ডের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের সমর্থন প্রয়োজন পড়ে।
বোর্ডের আরেকজন সদস্য বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “তিনি (এমডি) আবার দুই মাসের জন্য আমেরিকা যেতে চান। অন ডিউটি চান, আমেরিকায় বসে এখানে অফিস করবেন। আমি নোট অব ডিসেন্ট দেব। বাকিরা কী করবেন জানি না। আমি একা তো ঠেকাতে পারব না। সমস্যা হল, উনার বিরুদ্ধে কেউ কথাও বলতে চায় না। এ কারণে যা ইচ্ছা তাই করতে পারেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক।”
ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিদেশে বসে দাপ্তরিক কাজ করতে পারেন কি না, এ প্রশ্নের উত্তরে স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. খাইয়ুল ইসলাম বৃহস্পতিবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সরকার অনুমতি দিলে বিদেশে বসেও দাপ্তরিক কাজ করা যায়।
এজন্য অনেকগুলো ধাপ রয়েছে জানিয়ে ঢাকা ওয়াসা বোর্ডের এ সদস্য বলেন, “বোর্ডের একটা প্রস্তাব লাগবে। সেখান থেকে মিনিস্ট্রিতে আসবে। আমাদের মন্ত্রণালয় থেকে আবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে যাবে। সরকার অনুমতি দিলে পারবেন।”
এ বিষয়ে জানতে মোবাইলে একাধিকবার ফোন করেও তাকসিম এ খানের সাড়া মেলেনি।
এর আগে ২০২১ সালের ২৫ এপ্রিল থেকে ২৪ জুলাই পর্যন্ত দুই মাস যুক্তরাষ্ট্রে ছিলেন তাকসিম। তখন সেখান থেকেই দাপ্তরিক কাজ সারেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে সেসময় ব্যাপক সমালোচনা হয়েছিল।
তাকসিম ২০০৯ সাল থেকে ঢাকা ওয়াসার এমডি পদে রয়েছেন। প্রথম নিয়োগের পর থেকে মোট ছয়বার তার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।