সেখানে বলা হয়েছে, বোর্ডের অনুমতি ছাড়া বারবার ঠিকানা পরিবর্তন, অনুমোদিত কমিটি না থাকা, নিজস্ব জমি না থাকা, বাড়ি ভাড়ার চুক্তিপত্র দেখাতে না পারা এবং দুইজন ব্যক্তির অধ্যক্ষ দাবি করার অভিযোগ রয়েছে বাংলাদেশ আইডিয়ালের বিরুদ্ধে।
বুধবার পাঠানো ওই চিঠিতে কলেজ কর্তৃপক্ষকে ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ আইডিয়াল কলেজের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম জানান, ২০২০ সালের ২০ মে কলেজের মালিকদের একজন খুরশেদ আল মাসুম তাকে কলেজ হস্তান্তর করেন।
তার দাবি, তখন শিক্ষকদের বেতন বেকেয়া ছিল সাড়ে ১০ লাখ টাকা।
“২০১৯ সালের বকেয়া বেতনের সাড়ে ৫ লাখ টাকা আমি পরিশোধ করি। এরপর কলেজ যে বিল্ডিংয়ে ছিল, সেই মালিক কলেজ সরিয়ে নিতে বলেন, তার ১৯ লাখ টাকা ভাড়া বাকি ছিল।
“পরে আমি তাকে অনুরোধ করে তিন মাস একটা ফ্লোরে কলেজ রেখে খিলগাঁও চৌরাস্তায় নিয়ে আসি। কলেজ আমি নিজের নিয়ন্ত্রণে চালাচ্ছি।”
২০২০ সালে বোর্ড থেকে প্রাথমিক, স্কুল ও কলেজের বই ‘পাওয়ার কথা’ জানিয়ে সাইফুল বলেন, “বোর্ডে কাগজপত্র আমরাই লেনদেন করেছি। ২০২১ সালের জানুয়ারিতে বোর্ডে ফি দিয়ে আমি কলেজের পাসওয়ার্ড চেঞ্জ করি।
“এরপরে কিছুদিনের মধ্যে আগের কাগজপত্র দেখিয়ে সেই খুরশেদ আল মাসুম বোর্ডে গিয়ে ম্যানুয়ালি ম্যানেজিং কমিটি করছে। কিন্তু কমিটি করার নিয়ম অনলাইনে।”
মাসুম খিলগাঁওয়ে রুম ভাড়া নিয়ে কলেজের সাইনবোর্ড টাঙিয়ে রেখেছেন বলে দাবি করেন তিনি।
সাইফুলের ভাষ্য, “এরপর আমি বোর্ডের চেয়ারম্যান মহোদয় বরাবর অভিযোগ করি। এরপর সেটার তদন্ত শুরু হয়। তদন্ত কমিটির দুইজন এসে কলেজ পরিদর্শন করে সবকিছু দেখে গিয়ে তারা প্রতিবেদন দিয়েছে।”
২০২২ সালের উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা এইচ আর মেমোরিয়াল কলেজ থেকে ফরম পূরণের জন্য বলেছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড।
এ প্রসঙ্গে সাইফুল বলেন, “যেহেতু আমাদের কলেজ কোড, পাসওয়ার্ড সবকিছু বোর্ড হোল্ড করে রাখছে। শিক্ষার্থীদের তো ক্ষতি করা যাবে না। এজন্যই বোর্ড এ নির্দেশনা দিয়েছে।”
এসএসসি ও এইচএসসি শিক্ষার্থীরা গত দুই বছর তাদের কোনো বেতন দেয়নি বলে দাবি করেন তিনি।
এসব বিষয়ে খুরশেদ আল মাসুমের বক্তব্য জানতে পারেনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।