হেনোলাক্সের আমিন-ফাতেমা রিমান্ডে, মামলা ডিবিতে

ঠিকাদার গাজী আনিসকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার মামলায় ব্যবসায়ী নুরুল আমিন ও তার স্ত্রী ফাতিমা আমিনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুদিনের জন্য হেফাজতে পেয়েছে পুলিশ।  

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 July 2022, 12:28 PM
Updated : 6 July 2022, 03:11 PM

এদিকে এই মামলাটির তদন্তভার দেওয়া হয়েছে গোয়েন্দা পুলিশকে। ফলে বুধবার রিমান্ডের আদেশ হওয়ার পর আদালত থেকেই দুই আসামিতে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয় বলে শাহবাগ থানার ওসি মো. মওদুত হাওলাদার জানিয়েছেন।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মামলাটি গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তরের সব প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে; এখন মামলাটি গোয়েন্দা পুলিশ দেখবে।”

আমিন ম্যানুফাকচারিং কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরুল আমিন, তার স্ত্রী এই কোম্পানির পরিচালক। এই কোম্পানিরই একটি পরিচিত ব্র্যান্ড হেনোলাক্স স্পট ক্রিম।

কুষ্টিয়ার ঠিকাদার, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা গাজী আনিস এই কোম্পানিতে কোটি টাকা বিনিয়োগ করেও লভ্যাংশ না পেয়ে কিংবা পাওনা টাকা ফেরত না পেয়ে গত সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে নিজের গায়ে আগুন দেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

মঙ্গলবার আনিসের মৃত্যুর পর আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে শাহবাগ থানায় মামলা করেন তার ভাই নজরুল ইসলাম। এরপর আমিন ও ফামতেমাকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

বুধবার দুজনকে ঢাকার আদালতে নেওয়া হলে পুলিশের আবেদনে মহানগর হাকিম সৈয়দ মুস্তফা রেজা নূর দুই আসামির দুদিন রিমান্ডের আদেশ দেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার এসআই গোলাম হোসেন সাত দিনের জন্য রিমান্ডে চেয়ে আবেদন করেছিলেন।

গাজী আনিস।

শুনানিতে আসামিদের আইনজীবী তাপস দত্ত রিমান্ড বাতিলের আবেদন করে বলেন, গাজী আনিস অঙ্গীকারনামা দিয়েছিলেন যে পাওনা টাকা-পয়সা নিয়ে তিনি কোনো ‘অপপ্রচার’ করবেন না।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আজাদ রহমান বলেন, “এই অঙ্গীকারনামা মৃত গাজী আনিস দিয়েছিলেন কি না, এটাই যাচাই বাছাই করার জন্য তাদের রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন। আসামিদের কাছ থেকে ৩ কোটি টাকা পেতেন গাজী আনিস। এবং তাকে লভ্যাংশ দেওয়ার ব্যাপারেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন আসামিরা।”

মামলার বিবরণ অনুযায়ী, গাজী আনিস দুই দফায় ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা দিয়েছিলেন আমিনকে, লভ্যাংশসহ তার পাওনা ৩ কোটি টাকা।

আরও খবর