বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট বুধবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, “শিক্ষকের ওপর হামলা মানে শিক্ষার ওপর হামলা। আমরা যদি শিক্ষকদের সহিংসতা থেকে রক্ষা করতে ব্যর্থ হই, তাহলে শেষ পর্যন্ত শিশুরাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।”
ধর্মীয় সংখ্যালঘু শিক্ষকদের নির্যাতনের ঘটনা বাংলাদেশে একেবারে নতুন নয়। তবে ধর্ম অবমাননার মিথ্যা অভিযোগ ছড়িয়ে নড়াইলে কলেজ অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসকে জুতার মালা পরিয়ে অপদস্থ করা এবং সাভারের আশুলিয়ার কলেজ শিক্ষক উৎপল কুমার সরকারকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা নতুন করে নিন্দা ও প্রতিবাদের জন্ম দিয়েছে দেশজুড়ে।
মাস তিনেক আগেও মুন্সীগঞ্জে ক্লাসে ‘ধর্ম নিয়ে আপত্তিকর’ কথা বলার অভিযোগ তুলে আরেক হিন্দু শিক্ষককে অপদস্ত করা হয়, পাঠানো হয় কারাগারে।
ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে শিক্ষক হেনস্তার যেসব ঘটনা ঘটছে, তাতে শ্রেণিকক্ষে স্বাভাবিক পাঠদানে চাপ তৈরি হওয়ার কথা জানাচ্ছেন শিক্ষকরা; ‘অপমান এড়াতে’ ভয় নিয়েই যাচ্ছেন ক্লাসে।
ইউনিসেফের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট তার বিবৃতিতে বলেন, “বাংলাদেশে শিক্ষকদের ওপর সাম্প্রতিক ধারাবাহিক হামলার ঘটনায় ইউনিসেফ গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। ইউনিসেফ এসব হামলার নিন্দা জানায় এবং এক্ষেত্রে বাংলাদেশের পাশে রয়েছে।”
পাশাপাশি শিক্ষকদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “শিশুদের শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করতে শিক্ষকরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। কিন্তু এই কাজটি পালন করার জন্য, শিক্ষার্থীদের গঠনমূলক চিন্তা করতে শেখানো, তাদের পরিপূর্ণ সম্ভাবনার বিকাশ ঘটানো এবং ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য শিক্ষকদের কোনো ধরনের ভীতি ছাড়াই শেখাতে পারার সুযোগ দিতে হবে।”