ইউসিবির বিরুদ্ধে এম এন এইচ বুলুর মামলা

‘মিথ্যা’ মামলা দিয়ে সামাজিক ও ব্যবসায়িক সুনাম ক্ষুণ্ন করার অভিযোগে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবি) লিমিটেডের বিরুদ্ধে ৪০ কোটি টাকার মানহানি মামলা করেছেন বিএনএস গ্রুপের চেয়ারম্যান এম এন এইচ বুলু।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 July 2022, 04:22 PM
Updated : 5 July 2022, 04:22 PM

ঢাকা মহানগরের প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালতে মঙ্গলবার তিনি এ মামলা দায়ের করেন।

দৈনিক সংবাদ প্রতিদিনের প্রকাশক বুলু তার আরজিতে বলেছেন, তার প্রতিষ্ঠানের ‘সাফল্যে ঈর্ষান্বিত হয়ে’ একটি স্বার্থান্বেষী মহল দীর্ঘদিন তার সুনাম ‘ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টায় লিপ্ত’।

‘ওই স্বার্থন্বেষী মহলের ইন্দনে ও কু-পরামর্শে মিথ্যা বর্ণনা দিয়া’ ২০১৫ সালের ৪ মার্চ ইউনাইটেড কর্মাশিয়াল ব্যাংকের বনানী শাখা তার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করে, যেখানে তাকে আমির ফুড প্রোডাক্টস নামে এক কোম্পানির অ্যাকাউন্টের নমিনি হিসেবে দেখানো হয়।

“বিষয়টি আমি জানতে পারলে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকে ফোনের মাধ্যমে জোরালো অভিযোগ করি যে, আমি ওই অ্যাকাউন্টের নমিনি নই। অ্যাকাউন্টের কোনো নমিনি ফরমে আমি স্বাক্ষর করিনি এবং ওই অ্যাকাউন্ট খোলাসহ কোনো কার্যক্রমে আমার প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ কোনো সম্পৃক্ততা নাই।

এম এন এইচ বুলুর মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত পরে তাকে ইউসিবির ওই মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়।

“পরবর্তী সময়ে ইউনাইটেড কর্মাশিয়াল ব্যাংকের দায়ের করা ওই মিথ্যা মামলার সূত্র ধরে সিআইডি আমার বিরুদ্ধে পুনরায় বনানী থানায় একটি মামলা দায়ের করে। মামলায় আমির ফুড নামীয় হিসাব থেকে ১২ লাখ টাকা আমার হিসাবে জমা দেখানো হয়।

“কিন্তু ওইদিন আমির ফুড নামীয় হিসাব থেকে আমার অ্যাকাউন্টে কোনো টাকা আসেনি। ওই মামলায় আমি অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার হয়ে দীর্ঘ ৪ মাস বিনা বিচারে জেলহাজতে ছিলাম। এই সময়ে আমি শারীরিক ও মানসিকভাবে বিপর্যস্থ হয়ে পড়ি।”

এম এন এইচ বুলু বলছেন, গত বছরের ৬ জুন তিনি হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হন এবং এখন পর্যন্ত নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন। পায়ের সমস্যার কারণে ঠিকমত হাঁটাচলাও করতে পারছেন না।

“ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের মিথ্যা মামলার কারণে ৪ মাস বিনা বিচারে জেলহাজতে থাকাকালে আমার ফ্যাক্টরির জন্য কাঁচামাল আমদানি করা সম্ভব না হওয়ায় আমার সমস্ত ফ্যাক্টরি বন্ধ হয়ে যায় এবং আমার শতশত শ্রমিক বেকার হয়ে পড়ে।

“এছাড়াও আমার সামাজিক, ব্যাংকিং কর্পোরেট ও ব্যবসায়িক সুনাম ব্যাপকভাবে ক্ষুণ্ন হয়েছে। যার কারণে আমার ৪০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।”

এই অভিযোগের বিষয়ে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।