নোয়াখালীর দুই ইউপির নির্বাচন বাতিল চেয়ে ইসিকে নোটিস

নোয়াখালীর হাতিয়ায় দুটি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন বাতিল করে ‘স্বচ্ছ, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক’ নতুন নির্বাচনের দাবিতে ইসিতে নোটিস পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 July 2022, 11:47 AM
Updated : 5 July 2022, 12:47 PM

উপজেলার ২ নম্বর চানন্দি ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ আমিরুল ইসলাম এবং হরণী ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী মুশফিকুর রহমানের পক্ষে আইনজীবী মো. ওমর ফারুক রোববার ওই নোটিস পাঠান।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার ছাড়াও ইসি সচিব, নোয়াখালী জেলা প্রশাসক, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, হাতিয়া উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তাকে এ নোটিস পাঠানো হয়েছে।

নোটিস পাওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যে ‘যথাযথ ব্যবস্থা’ না নিলে বিবাদীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে সেখানে।

গত ১৫ জুন চানন্দি ও ১ নম্বর হরণী ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন হয়। চানন্দি ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন আমিরুল, হরণীতে মুশফিক। শুরু থেকেই তারা স্থানীয় সংসদ সদস্যের স্বামীর বিরুদ্ধে ‘হস্তক্ষেপ ও প্রচারে বাধা’ দেওয়ার অভিযোগ করে আসছিলেন।

নোটিসে বলা হয়, গত ২৫ এপ্রিল তফসিল ঘোষণার পর থেকেই স্থানীয় সংসদ সদস্যের স্বামী এবং স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওই দুই ইউনিয়নের নির্বাচনে ‘বেআইনিভাবে প্রভার বিস্তার, প্রার্থীদের উপর হামলা, প্রচারে বাধা’ দেওয়া হয়। বিশেষ করে নৌকা প্রতীকের পক্ষে ‘পক্ষপাতমূলক আচরণ’ করা হয়।

এ বিষয়ে প্রতিবাদ জানাতে বিষের বোতল আর কাফনের কাপড় নিয়ে ওই দুই ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থীরা গত ৩১ মে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচিও পালন করেছিলেন।

তারা স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের দাবি জানান। ওইদিন প্রার্থীদের একটি প্রতিনিধি দল ইসি সচিবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সুষ্ঠু নির্বাচনের আশ্বাস পেয়ে অবস্থান কর্মসূচি থেকে সরে যান।

এরপরও নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি এবং ভোট ডাকাতি হয়েছে উল্লেখ করে নোটিসে বলা হয়, সাত দিনের মধ্যে নতুন নির্বাচনের জন্য যথাযথ আইনি ব্যবস্থা না নিলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে রিট করা হবে।

আইনজীবী ওমর ফারুক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ সংশ্লিষ্টদের স্বচ্ছ, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহনমূলক নতুন নির্বাচনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে উকিল নোটিস পাঠিয়েছি, সাত দিনের মধ্যে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা না নিলে পরবর্তীতে হাই কোর্টে রিট করা হবে।”

ওই নোটিসের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ইসি কর্মকর্তারা বলেন, এসব ইউপির ফলাফল হয়ে গেছে। এখন আইনি বিষয় এলে তা কমিশন ‘আইনগতভাবে’ মোকাবেলা করবে।

ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা এখনও এ সংক্রান্ত লিগ্যাল নোটিস হাতে পাইনি। হাতে পেলে কমিশনে উপস্থাপন করা হবে এবং নোটিসের জবাব দেওয়া হবে।”

আরও খবর