বাংলাদেশে অংশগ্রহণমূলক ও সহিংসতামুক্ত দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন আয়োজনে নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা করার আগ্রহ দেখিয়েছে পশ্চিমা দেশগুলো। তবে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছন, সহযোগিতার সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব এলে তারা বিবেচনা করে দেখবেন।
Published : 04 Jul 2022, 01:19 AM
রোববার নির্বাচন ভবনে অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (ওইসিডি) ভুক্ত দেশের রাষ্ট্রদূতরা ইসির সঙ্গে বৈঠক করে।
বৈঠকে কানাডা, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জার্মানি, ইতালি, জাপান, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, স্পেন, সুইজারল্যান্ড, তুরস্ক, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া ও সুইডেনের রাষ্ট্রদূতরা উপস্থিত ছিলেন।।
বৈঠক শেষে অংশগ্রহণকারীদের পক্ষে ঢাকায় সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাথালি শিউআর্ড সাংবাদিকদের বলেন, “গণতান্ত্রিক চর্চাকে আরও বেগবান করতে নাগরিকদের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলনে আমরা মতবিনিময় করেছি।”
সংসদ নির্বাচনে দেশীয় সংস্থার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সংস্থার নির্বাচন পর্যবেক্ষণের বিষয়ে কমিশন তাদের আশ্বস্ত করেছে বলে জানান তিনি।
সহযোগিতার বিষয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, “গণতন্ত্রকে আরও শক্তিশালী করতে ভোটাধিকার প্রয়োগের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করে অংশগ্রহণমূলক ও সহিংসতামুক্ত নির্বাচনী পরিবেশ দরকার। এক্ষেত্রে গণমাধ্যম, সুশীল সমাজ, অংশীজন, রাজনৈতিক দলের কার্যকর ভূমিকা রয়েছে।
“গণতান্ত্রিক চর্চা, জনগণের আকাঙ্ক্ষা পুরণে বন্ধু রাষ্ট্র হিসেবে নির্বাচন কমিশনকে আমরা যে কোনো প্রকার সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত।”
রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে দেড় ঘণ্টার বৈঠক শেষে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, “আমরা তাদের আশ্বস্ত করেছি, (গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনে) আমাদের দিকে থেকে আমাদের যা যা করণীয় আমরা করবো। দে ওয়্যার প্লিজড। বলেছি ভবিষ্যতেও যখন প্রয়োজন হয় আসবেন।”
সহযোগিতার বিষয়ে তিনি বলেন, “ওরা যেটা বলেছে সহযোগিতা করার কথা, আমরা চট করেই কোনো সহযোগিতার কথা বলিনি। আমরা বলেছি, আমরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে দেখব। কোনো টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স যদি প্রয়োজন হয়, তাহলে আমরা উনাদের জানাব।”
এক প্রশ্নের উত্তরে সিইসি বলেন, “নিশ্চিত করে বলতে পারছি না কী ধরনের সহযোগিতা উনারা দেবেন বা আমরা কী ধরনের সহযোগিতা চাইব।”
নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষকের পর্যবেক্ষণে ইসির দিক থেকে কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন তিনি।
রাজনৈতিক দলগুলোর বিপরীতমুখী অবস্থানের বিষয়ে রাষ্ট্রদূতরা ওয়াকিবহাল হলেও জানান সিইসি।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “(রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে দুরত্ব) ওই ধরনের বিষয়ে উনারা তেমন কথা বলেনি। আমরা জানিয়েছি- এখনও কনসেসাস অনেকটা বিষয়ে এখনও হয়নি।
“উনারাও খুব ভালো করেই জানেন, এখনও কিছু কিছু দল ঘোষণা দিয়ে যাচ্ছে তারা নির্বাচনে অংশ নেবে না। উনারাও বিশ্বাস করেন, আমরাও চেষ্টা করে যাবো, এ দরত্বটা কেটে গিয়ে যেন ঐক্যমত প্রতিষ্ঠিত হয়।”
বৈঠকে নির্বাচন কমিশনার অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আহসান হাবিব খান, রাশেদা সুলতানা, মো. আলমগীর, ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ উপস্থিত ছিলেন।
আরও খবর-