রোববার মন্ত্রণালয় এবং বিভাগগুলোর ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) স্বাক্ষর উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি।
গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সরকার প্রধান ঢাকার ওসামানী স্মৃতি মিলনায়তনের মূল অয়োজনে বক্তব্য রাখেন।
শেখ হাসিনা বলেন, “আমরা জনগণের কাছে যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছি, সেটা বাস্তবায়ন করতে চাই।
“আমরা রাজনীতি করি দেশের জনগণের জন্য। আমার নির্বাচনে অংশগ্রহণকালে ঘোষণা করা দলের নির্বাচনী ইশতেহারে দেশকে আর্থসামাজিকভাবে এগিযে নিয়ে যাওয়ার কর্মপরিকল্পনা থাকে।”
সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সরকার আশু, মধ্যমেয়াদি এবং দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নির্দিষ্ট করে পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা এবং দীর্ঘ মেয়াদি প্রেক্ষিত পরিকল্পনায় করণীয় নির্দিষ্ট করে বলে জানান তিনি।
২০০৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে তুলে আনতে পারার কথা বলেন শেখ হাসিনা।
করোনাভাইরাস মহামারী মোকাবেলায় সরকারের সাফল্য তুলে ধরে সরকার প্রধান বলেন, “উন্নত দেশও যেটা পারেনি সেটা আমরা করেছি। বিনা পয়সায় টার্গেটেড জনগণকে টিকা দিয়েছি, এখন বুস্টার ডোজও দেওয়া হচ্ছে।”
সবাইকে কোভিড টিকার বুস্টার ডোজ নেওয়ার পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরমর্শ দেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, দেশের বন্যা পরিস্থিতি সরকার যথাযথভাবে মোকাবেলা করছে।
পদ্মা সেতু তৈরির পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যেও উন্নয়ন প্রকল্পগুলো এগিয়ে নেওয়ার কথা বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানে বার্ষিক কর্মসম্পাদনে সাফল্য অর্জনকারী মন্ত্রণালয়/বিভাগ এবং ব্যক্তি বিশেষের মাঝে ‘বার্ষিক কর্মসম্পাদন পুরস্কার ২০২২’ ও ‘শুদ্ধাচার পুরস্কার ২০২২’ দেওয়া হয়।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
এই সময় জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দোকার আনোয়ারুল ইসলাম অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।