আইন হচ্ছে ‘পারিবারিক আদালত অধ্যাদেশ’

সামরিক শাসনামলে জারি করা পারিবারিক আদালত অধ্যাদেশকে আইনে পরিণত করার প্রস্তাবে সায় দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 July 2022, 11:44 AM
Updated : 3 July 2022, 11:44 AM

রোববার সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে আইন ও বিচার বিভাগের উপস্থাপন করা এ আইনের খসড়া অনুমোদন পায় বলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানিয়েছেন।

বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, “১৯৮৫ সালে একটি ফ্যামিলি কোর্ট অর্ডিন্যান্স হয়, সেই অর্ডিন্যান্সে পারিবারিক বিষয়গুলো দাম্পত্য কলহ, তালাক, ম্যারেজ রেস্টোরেশন, শিশুদের ভরণপোষণ- এ বিষয়গুলো ছিল। এর আগে এ বিষয়গুলো ফৌজদারি কার্যবিধির ৪(৮৮)-তে বিবেচ্য হত।

“হাই কোর্টের বিধিবিধান অনুযায়ী এটিকে (সামরিক শাসনামলের অধ্যাদেশ) আইনে পরিণত করতে হবে, তাই এ আইনের খসড়াটি নিয়ে আসা হয়েছে।”

অধ্যাদেশে যা ছিল, ‘মোটামুটি’ সেটাই আইনে থাকছে জানিয়ে খন্দকার আনোয়ারুল বলেন, “এখানে ৩১টি ধারা আছে। বিবাহ বিচ্ছেদ, দম্পত্য অধিকার পুনরুদ্ধার, দেনমোহর, ভরণপোষণ এবং শিশু সন্তানদের অভিভাবকত্ব ও তত্ত্বাবধান সংক্রান্ত বিষয়গুলো আদালত বিবেচনায় নেবে।

“একটাই মূল পরিবর্তন আনা হয়েছে। সেটা হল- আগে ছিল যে আদালতে রায় হবে, সেটার আপিল কর্তৃপক্ষ ছিলেন জেলা জজ। এখন সংশোধন এনে বলা হচ্ছে, জেলা পর্যায়ে আরও জজ আছেন, নারী-শিশু বা শ্রম আদালত।”

আপিল কর্তৃপক্ষ কেবল জেলা জজ হলে তার ওপর ‘বেশি চাপ পড়ে’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, “সরকার যদি মনে করে কোনো জেলায় আপিলের জন্য অতিরিক্ত মামলা আছে, সেক্ষেত্রে জেলা জজ পর্যায়ের অন্যান্য যে জজরা রয়েছেন, তাদেরকেও আপিল আদালত হিসেবে বিবেচনা করা যাবে।”

খন্দকার আনোয়ারুল বলেন, পারিবারিক আদালতে মামলার ক্ষেত্রে ফির হার ৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০০ টাকা করা হয়েছে।

“কারণ ১৯৮৫ সালে কোর্টে মামলা করলে ৫০ টাকা দিতে হত। বাড়িয়ে এখন যেটা করা হয়েছে সেটাও অনেক কম। কারণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে একটু অসহায় মেয়েরা এসে মামলা দায়ের করে, সেটা বিবেচনা করে ফি-টা বাড়ানো হয়নি।”