রাজধানীর পল্টন ও বনশ্রী এলাকা থেকে শুক্রবার আবুল মোতালেব (৪৬) ও জাহাঙ্গীর সিদ্দিক ভূঁইয়া (৪৪) নামের ওই দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
শনিবার দুপুরে তেজগাঁওয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঢাকা মেট্রো (উত্তর) কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক জাফরুল্লাহ কাজল। তিনি বলেন, গ্রেপ্তার মোতালেব এক যুগেরও বেশি সময় ধরে জনশক্তি রপ্তানি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত।
“এই ব্যবসার আড়ালে মোতালেব মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছিলেন।”
মোতালেবকে গ্রেপ্তারের পর তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী জাহাঙ্গীর সিদ্দিক ভূঁইয়াকে বনশ্রী থেকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা কাজল।
“একটি গ্রুপ অব কোম্পানির প্রজেক্ট ম্যানেজার জাহাঙ্গীর সিদ্দিক ভূঁইয়ার কাছ থেকে আমরা এক কেজি আফিম পাই।”
দুইজনই সমন্বয় করে এই মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছিলেন জানিয়ে তিনি বলেন, “অফিম একটি 'ক' শ্রেণির মাদকদ্রব্য। এই তিন কেজির মূল্য তিন কোটি টাকা।”
তারা এটিই প্রথম চালান দাবি করলেও তাদের ব্যাপারে আরও অনেক তথ্য পাওয়া যাচ্ছে বলে জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, উপপরিচালক রাশেদুজ্জামান এবং সহকারী পরিচালক মেহেদী হাসানের তত্ত্বাবধানে মোহাম্মদপুর সার্কেলের পরিদর্শক শাহীনুল কবীরের নেতৃত্বে একটি টিম তাদের গ্রেপ্তারে এ অভিযান পরিচালনা করে।
‘ক’ শ্রেণিভুক্ত এ মাদক ব্যবহারে শ্বাসকষ্ট, অবচেতন হয়ে পড়া, মুখ ও নাক শুকিয়ে যাওয়া, বমি বমি ভাব হওয়া, কোষ্ঠকাঠিন্যসহ নানা ধরনের জটিলতা হতে পারে। আবার বেশি পরিমাণে খেলে মৃত্যুও ঘটতে পারে।