ই-পাসপোর্টের প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাদাত হোসেন বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, “ই-পাসপোর্টধারীরা খুব অল্প সময়ের মধ্যে এই ই-গেটের মাধ্যমে তাদের ইমিগ্রেশন শেষ করতে পারছেন।”
গত ৮ জুন ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরে ই গেইট চালু হয়।
ই-গেইটের মাধ্যমে ১৮ সেকেন্ডে ই-পাসপোর্ট এবং ই-পাসপোর্টধারী ব্যক্তির ভেরিফিকেশন শেষ করা যাচ্ছে বলে ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা দাবি করেন।
কীভাবে মাত্র ১৮ সেকেন্ডে ই-গেটের মাধ্যমে ইমিগ্রেশন শেষ হয়, তা দেখতে একদল সাংবাদিক শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যান।
সেখানে ব্যাংককগামী এক বাংলাদেশি যাত্রীর ই-পাসপোর্টটি স্ক্যান করিয়ে ১৮ সেকেন্ডের মধ্যে তার ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করা দেখানো হয়।
প্রকল্প পরিচালক সাংবাদিকদের বলেন, “আগে ইমিগ্রেশন করতে আধা ঘণ্টার বেশি সময় লাগত একেক জনের। এখন তা ১৮ সেকেন্ডে এসেছে।”
তবে সম্প্রতি ই গেইট পেরিয়ে আসা একজন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ই-গেইটে পাসপোর্ট স্ক্যান করতে হয়, ওখানে ৪/৫ সেকেন্ড লাগে। তারপর স্ক্যান শেষে একটা ক্যামেরা অন হয়। ওখানে মাথা নির্দিষ্ট জায়গায় রেখে ছবি তুললে একটা গেট ওপেন হয়। গেট থেকে এগোলে আগের মতো ইমিগ্রেশন অফিসার বসে থাকে। পাসপোর্ট নেয়, সিল মারে। আবার ছবি তোলে।
“ফলে ১৮ সেকেন্ডে আসলে হয় না। তবে আগের থেকে কম সময় লাগে। কারণ ই-গেইটে ভিড় থাকে না। আর ইমিগ্রেশন অফিসারকে তথ্যগুলো টাইপ করে লিখতে হয় না।”
তবে ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা বলছেন, ই-গেইট নতুন বলে কিছু কিছু যাত্রীকে হাতে-কলমে বুঝিয়ে দিতে হচ্ছে। এজন্য কিছুটা বাড়তি সময় লাগছে।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বর্তমানে বহির্গমন ফটকে ১২টি এবং আগমনী ফটকে ১২টিসহ মোট ২৪টি ই-গেইট স্থাপন করা হয়েছে।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাদাত সাংবাদিকদের জানান, চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে ৬টি, বেনাপোল ও বাংলাবান্ধা স্থল বন্দরে একটি করে ই-গেট স্থাপন করা হয়েছে। এ বছরে ২২টি স্থল বন্দরে ই-গেট স্থাপন করা হবে।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন মো. কামরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, এই উপমহাদেশে বাংলাদেশেই প্রথম ই-পাসপোর্ট চালু হয়েছে। এর জন্য বিমানবন্দরে ই-গেইট স্থাপন করা হয়েছে।
“তবে যাত্রীদের অনেকে এখনও ই-গেট ব্যবহারে অভ্যস্ত নয়। এ জন্য হয়ত কিছুটা সময় লাগবে।”
এসময় পুলিশের ইমিগ্রেশন বিভাগের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাহরিয়ার আলম, ই-পাসপোর্টের অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক কর্নেল মো.খালিদ সায়ফুল্লাহ, উপ-প্রকল্প পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম, পাসপোর্ট অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবু নোমান মোহাম্মদ জাকির হোসেন উপস্থি ছিলেন।