ঢাকার আশুলিয়ায় ক্রিকেট স্টাম্প দিয়ে শিক্ষককে পিটিয়ে খুনের আসামি শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার হয়েছেন।
Published : 29 Jun 2022, 08:03 PM
দশম শ্রেণির এই শিক্ষার্থীকে পাশের জেলা গাজীপুরের শ্রীপুর থেকে বুধবার গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার সহকারী পরিচালক আ ন ম ইমরান খান।
এই কিশোর আশুলিয়ার হাজী ইউনুস আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী। ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক উৎপল কুমার সরকারকে খুনের অভিযোগ তার বিরুদ্ধে।
এই ছাত্রের বাবাকে বুধবারই কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলা থেকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছিলেন আশুলিয়া থানার ওসি এইচ এম কামরুজ্জামান।
উৎপল হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ইতোমধ্যে মামলা করেছেন তার ভাই অসীম কুমার সরকার।
মামলার বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, শনিবার দুপুরে হাজী ইউনুস আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের মাঠে উৎপল সরকারের উপর অতর্কিত হামলা চালায় দশম শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ওই ছাত্র। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার ভোরে উৎপল মারা যান।
ঘটনার বর্ণনায় ওই কলেজের অধ্যক্ষ সাইফুল হাসান বলেছিলেন, “আমাদের স্কুলে মেয়েদের ক্রিকেট খেলা চলছিল। দুপুরে মাঠের একপাশে দাঁড়িয়ে থাকা উৎপলকে হঠাৎ করে এসে ক্রিকেট খেলার স্টাম্প দিয়ে এলোপাথাড়ি আঘাত করতে থাকে ওই ছাত্র।”
ভাই অসীম সরকার বলছেন, মেয়েদের উত্ত্যক্ত করার ওই ছাত্রকে শাসন করেছিলেন উৎপল। সেই কারণেই হামলা হয় বলে তিনি জানতে পেরেছেন।
আশুলিয়ার চিত্রশাইল এলাকার ওই কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক উৎপল কলেজের শৃঙ্খলা কমিটির সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন।
অধ্যক্ষ সাইফুল হাসান বলেন, “তিনি (উৎপল) ছাত্রদের বিভিন্ন সময় চুল কাটতে বলাসহ বিভিন্ন আচরণগত সমস্যা নিয়ে কাউন্সেলিং করতেন। বিভিন্ন অপরাধের বিচারও করতেন তিনি। হয়ত কোনো কারণে সেই শিক্ষকের ওপর ক্ষোভ থেকে ছাত্রটি এই ঘটনা ঘটিয়েছে।”
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিয়ে আশুলিয়ার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিতে যোগ দিয়েছিলেন উৎপল (৩৭)। তিনি ঢাকার মিরপুরে পরিবার নিয়ে থাকতেন। সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া থানার এঙ্গেলদানি গ্রামের মৃত অজিত সরকারের ছেলে তিনি।
উৎপলের মৃত্যুর পর হামলাকারীর দ্রুত বিচার দাবিতে মানববন্ধন করেছে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। দেশের বিভিন্ন স্থানেও নানা কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।