পদ্মা সেতুর নাট খোলায় গ্রেপ্তার বাইজীদ রিমান্ডে

পদ্মা সেতুর রেলিংয়ের নাট কোন উদ্দেশ্যে খুলেছিলেন, তা জানতে বাইজীদ তালহাকে সাত দিন ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করবে সিআইডি।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 June 2022, 01:48 PM
Updated : 27 June 2022, 04:04 PM

সেতু উন্মুক্ত হওয়ার দিন নাট খুলে ফেলার দৃশ্য নিয়ে ‘টিকটক’ ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর এই যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়। সোমবার বিকালে তাকে পাঠানো হয় আদালতে।

সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মো. রেজাউল মাসুদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে শরীয়তপুরের আদালতে ওঠানো হয় বাইজীদকে। আদালত সাত দিনের পুলিশ হেফাজত দিয়েছে।

শরীয়তপুরের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মো. সালেহুজ্জামান শুনানি শেষে এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

বাইজীদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঢাকায় আনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সিআইডি কর্মকর্তা রেজাউল মাসুদ। মামলার অপর আসামি কায়সার আহম্মেদ (২৬) পলাতক রয়েছেন।

পটুয়াখালি জেলার তেলীখালী গ্রামের মো. আলাউদ্দিনের ছেলে বাইজীদকে (৩০) রোববার রাজধানীর শান্তিনগর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি। তিনি ছাত্রদল কর্মী বলে পরে কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে খবর আসে।

সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক মো. শহীদুল ইসলাম বাদী হয়ে শরীয়তপুরের পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে যে মামলা করেন, সেখানে তার সহযোগী হিসেবে কায়সার আহম্মেদ এবং অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করা হয়।

সোমবার দুপুরে সিআইডি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সিআইডি কর্মকর্তা রেজাউল বলেন, নাট হাত দিয়ে খোলার কথা নয়; এটি একটি ‘অন্তর্ঘাতমূলক’ কাজ।

তিনি বলেন, “পদ্মা সেতুতে দাঁড়ানো বা ছবি তোলা নিষেধ হলেও প্রথম দিনে শিথিলতার সুযোগে বাইজীদ তালহা নামের এক যুবক অসৎ উদ্দেশ্যে খুলে নিয়েছেন পদ্মা সেতুর নাট, যা তার নিজস্ব টিকটক অ্যাকাউন্টে ভাইরাল হয়।”

এক প্রশ্নের জবাবে রেজাউল মাসুদ বলেন, “কোনো কাজে ত্রুটি দেখলে সেটা যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানানো উচিত, সেতু কর্তৃপক্ষকে জানানো, পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানানো।

“তালহা যেটাকে পুঁজি করে, ভিডিও করে ভাইরাল করেছে এবং মানুষের ইমোশনাকে আঘাত দিয়েছে, আমাদের কাছে মনে হচ্ছে এটা অনেক বড় অপরাধ।”

নাট খুলতে কোনো যন্ত্রাংশ ব্যবহার করা হয়েছে কি না, এ প্রশ্নের সরাসরি উত্তর না দিয়ে রেজাউল মাসুদ বলেন, “তদন্ত চলছে। এই ভিডিও ছাড়াও আরও কিছু ভিডিও পুলিশের হাতে আছে। আর এটা তদন্তাধীন বিষয়। প্রাথমিকভাবে তার কাছে ডিভাইস পেয়েছি, মোবাইল জব্দ করেছি।”

তিনি বলেন, “একজন অপরাধ করার পরে যে ধরনের কর্মকাণ্ড থাকে, তালহার ভেতর তা পাওয়া গেছে। যেহেতু মামলাটি বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলা। কোনো কিছু যেনতেনভাবে করতে চাচ্ছি না।”

এক প্রশ্নের জবাবে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার বলেন, “সেতু কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা জানিয়েছে, এভাবে হাত দিয়ে খোলা সম্ভব না। তাহলে সহজেই বোঝা যাচ্ছে এখানে ইন্সট্রুমেন্ট...।”

রেজাউল মাসুদ বলেন, “অনেক তথ্য আসতেছে, আপনাদের কাছেও আসতেছে। সিআইডি পুলিশের অ্যাপেক্স ইনভেস্টিগেশন উইং। এখানে কথা বলব, দায়িত্বশীলতার কথা বলব।”