পুলিশের প্রসিকিউশন বিভাগের উপ কমিশনার মো. জাফর হোসেন জানান, টিপু স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় শুক্রবার তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের প্রেক্ষিতে তা রেকর্ড করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শেখ সাদী।
আলোচিত এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার মুসার জবানবন্দি দেওয়ার বিষয়টি রোববার জানা যায়।
ওমানে গ্রেপ্তার হলে দেশে আনার পর মুসাকে প্রথম দফায় ছয়দিন জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ১৭ জুন আবার চারদিনের রিমান্ডে নেয়ে পান তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মোহাম্মদ ইয়াসিন শিকদার। এরপর তাকে তৃতীয় দফায় তিন দিনের রিমান্ড পায় ২২ জুন।
গত ২৪ মার্চ রাতে রাজধানীর শাজাহানপুরে যানজটে আটকে পড়া গাড়িতে থাকার সময় এলোপাথাড়ি গুলিতে নিহত হন মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপু।
মোটরসাইকেলে আসা এক ব্যক্তি তার গাড়ির কাছে এসে গুলি করেন। ওই সময় গাড়িটির পাশে রিকশায় থাকা কলেজছাত্রী প্রীতিও গুলিতে নিহত হন। টিপুর গাড়িচালক মুন্নাও গুলিবিদ্ধ হন।
এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়ে মুসার নাম আসে। ওই সময় তিনি দুবাইয়ে অবস্থান করছিলেন বলে পুলিশ জানতে পারে। পরে সেখান থেকে ওমানে চলে যান তিনি। এ মামলার তদন্তে মুসার নাম আসার পর তাকে ধরতে ইন্টারপোলের সহযোগিতা চেয়েছিল বাংলাদেশের পুলিশ।
এরপর গত ১২ মে মুসা ওমানে গ্রেপ্তার হলেও বাংলাদেশে বিষয়টি জানাজানি হয় ৩ জুন। পরে পুলিশের একটি টিম গত ৯ জুন ওমানে গিয়ে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনে।
হত্যাকাণ্ডের পর টিপুর স্ত্রী স্থানীয় নারী ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফারহানা ইসলাম ডলি যে মামলা করেছেন, তাতে আসামির তালিকায় কারও নাম উল্লেখ করা ছিল না।
পরে ২৬ মার্চ রাতে বগুড়া থেকে মাসুম মোহাম্মদ ওরফে আকাশ নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, এই ব্যক্তিই টিপুকে গুলি করেন। পরে আরফান উল্লাহ দামাল নামে আরও একজনকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করা হয় কমলাপুর থেকে।
এরপর ২ এপ্রিল মুসার ভাই সালেহ শিকদার ওরফে শুটার সালেহ, মতিঝিল থানার ১০ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুকসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করার কথা জানায় র্যাব।
আরও পড়ুন