রোববার শুনানি শেষে মহানগর হাকিম শান্তা ইসলাম তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আসামিরা হলেন- মোস্তাফিজুর রহমান সাব্বির, হাসিবুর রহমান, মো. অন্তর সরকার, নাজমুল হক, মো. শফিকুল আলম খন্দকার, তুষার আহমেদ বাপ্পি ও ফরহাদ হোসেন শান্ত।
দুইদিনের রিমান্ড শেষে সাত আসামিকে রোববার আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা যাত্রাবাড়ী থানার এসআই নওশের আলী। অন্যদিকে আসামিপক্ষে জামিন চেয়ে আবেদন করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আজাদ রহমান জানান, এ শিক্ষার্থীরা ছাত্র শিবিরের সদস্য বলে পুলিশের সন্দেহ।
মামলার বিবরণ অনুযায়ী, গত ১২ মে সকাল ৯টার দিকে যাত্রাবাড়ী এলাকায় জামায়াত-শিবিরের ২০০/২৫০ নেতাকর্মী আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটানোর লক্ষ্যে রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে একটি লেগুনা ভাঙচুর করে। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপসহ ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়।
এ ঘটনায় এসআই সাব্বির বাদী হয়ে যাত্রাবাড়ী থানায় বিস্ফোরণ আইনে মামলা করেন।
এ মামলায় গত ২২ জুন রাতে অভিযান চালিয়ে জবির ৭ শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন পুলিশ তাদের সাতদিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করলে আদালত দুইদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আসামিরা সবাই যাত্রাবাড়ীর কুতুবখালি এলাকায় একটি মেসে থাকতেন।