রোববার এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমার তারিখ থাকলেও কেরানীগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ তা দিতে না পারেনি। তাই প্রতিবেদন জমা দিতে আগামী ৮ আগস্ট নতুন তারিখ রেখেছেন ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম ফারহানা ইয়াসমিন।
গত ১৭ জানুয়ারি সকালে ঢাকার কেরানীগঞ্জের হজরতপুর সেতুর কাছে আলিয়াপুর এলাকায় রাস্তার পাশে এক নারীর বস্তাবন্দি লাশ পাওয়া যায়। পরে জানা যায়, ওই মরদেহ অভিনেত্রী রাইমা ইসলাম শিমুর।
তার ভাই হারুনুর রশীদ এ ঘটনায় কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। সেদিনই শিমুর স্বামী খন্দকার সাখাওয়াত আলীম নোবেল এবং তার বন্ধু এস এম ওয়াই আব্দুল্লাহ ফরহাদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পরে তাদের তিন দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। ঢাকার দুইজন বিচারিক হাকিমের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন তারা।
২১ জানুয়ারি পুলিশের পক্ষ থেকে এক সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ‘দাম্পত্য কলহের জের ধরে’ শিমুকে হত্যা করেন তার স্বামী শাখাওয়াত আলীম নোবেল। এরপর বন্ধু আব্দুল্লাহ ফরহাদ সহায়তায় বস্তাবন্দি লাশ কেরানীগঞ্জে ফেলে আসেন।
দুই যুগ আগে ঢাকাই চলচ্চিত্রে অভিষিক্ত শিমু মূলত পার্শ্ব অভিনেত্রীর চরিত্রে অভিনয় করতেন। পাশাপাশি কয়েকটি টিভি নাটকে অভিনয় এবং প্রযোজনাও করেছেন তিনি। স্বামী ও দুই সন্তানকে নিয়ে ঢাকার গ্রিনরোড এলাকার একটি বাসায় থাকতেন তিনি।