ঢাকার পোস্তগোলা থেকে ফরিদপুরের ভাঙা পর্যন্ত ৭৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সড়কের দুইপাশ এবং বিভাজকে টানানো ফেস্টুন রোববার খুলে সড়কে পড়ে থাকলেও তা সরাতে কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি।
আগের দিন পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে উৎসবের আমেজে সেজেছিল বঙ্গবন্ধুর নামাঙ্কিত এ্ই এক্সপ্রেসওয়ে।
রোববার দুপুরে এক্সপ্রেসওয়ের শুরুর প্রান্ত যাত্রাবাড়ীর ধোলাইপাড় থেকে শুরু করে জাজিরা প্রান্ত পর্যন্ত ঘুরে শতাধিক বড় আকারের ব্যানার, ফেস্টুন ভেঙে সড়কের উপর পড়ে থাকতে দেখা গেছে। তবে সেতুর জাজিরা প্রান্ত থেকে পাঁচ্চর মোড় পর্যন্ত সড়কের দুই পাশ ছিল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন।
এসব ব্যানার ফেস্টুনে ক্ষমতাসীন দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের পাশাপাশি স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের ছবিও দেখা গেছে। সরকারকে অভিনন্দন জানিয়ে এসব প্রচার সামগ্রী লাগানো হয়েছিল।
ঢাকা থেকে এক্সপ্রেসওয়ে হয়ে মাওয়া প্রান্তের টোল প্লাজায় প্রাইভেটকারে আসেন বেসরকারি ব্যাংক কর্মকর্তা আব্দুস সালাম।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ভাই অল্পের জন্য বেঁচে গেছি। বড় একটি গাড়ি আমাকে চাপ দেওয়ায় আমি ডান পাশে চেপে যাই, কিন্তু হঠাৎ দেখি সামনে একটি বড় ফেস্টুন ভেঙে পড়ে আছে। তখন কোনো মতে নিজেকে সামলে গাড়ি স্লো করেছি।”
তবে মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান ও শ্রীনগরের মাঝামাঝি সড়কে একজনকে দেখা গেল ব্যানার খুলে নিতে। কিন্তু রেখে গেলেন ফেস্টুন টানানো কাঠের কাঠামো, যার অর্ধেক পড়ে থাকল রাস্তার উপরে। অনেক জায়গায় প্রচার সামগ্রীর এসব কাঠামোর অর্ধেক সড়কের দিকে কাত হয়ে থাকতেও দেখা গেছে।
উচ্চগতির এ মহাসড়কে এসব কাঠামো পড়ে থাকায় আরও চালকরাও দুর্ঘটনার শঙ্কার কথা জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “নিয়ম অনুযায়ী যারা ব্যানার ফেস্টুন লাগিয়েছে, তারাই সরিয়ে ফেলবে।
“যেহেতু এখনও সরানো হয়নি, আমরা চালক ও জনসাধারণের অসুবিধার কথা ভেবে অতি দ্রুত সরিয়ে ফেলার জন্য প্রকল্পের সঙ্গে জড়িতদের দিয়ে সব পরিষ্কার করার কথা বলব।”