রাষ্ট্রদূত রোববার সকালে সৌজন্য সাক্ষাতে গণভবনে যান বলে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইংয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পদ্মা সেতু উদ্বোধনে বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ ‘আনন্দিত’ হবেন বলে আশা প্রকাশ করেন কুয়েতের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত।
নির্মাণ কাজ শেষে পদ্মা সেতু উদ্বোধন করা হয় শনিবার। ছয় কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতুর মাধ্যমে দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে রাজধানীর সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপিত হয়েছে।
সৌজন্য সাক্ষাতে বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
সে সময় বাংলাদেশ-কুয়েতের মধ্যে সম্পর্ক জোরদারে কুয়েতের আন্তরিক প্রচেষ্টার জন্য দেশটির রাষ্ট্রদূতকে ধন্যবাদ জানান শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রদূতকে জানান, তার সরকারে জনগণের মৌলিক চাহিদা পূরণে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে। এর মধ্যে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি এবং গৃহহীনদের জন্য ঘরের ব্যবস্থা করা গুরুত্ব্ পাচ্ছে।
কুয়েত সরকার আগ্রহী হলে বাংলাদেশে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগে আসতে পারেন বলেও মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা। তিনি বাংলাদেশ থেকে দক্ষ জনবল নিতে কুয়েত সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
এ ছাড়া দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক ক্ষেত্রে কুয়েতের প্রতি সমর্থন রাখায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান বিদায়ী রাষ্ট্রদূত আদেল মোহাম্মদ এ এইচ হায়াত।
শেখ হাসিনা রাষ্ট্রদূতের সুস্বাস্থ্য ও সাফল্য কামনা করেন বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানান হয়।