এক বছরে ২০,৫৯২ মাদক মামলা: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

দেশজুড়ে চালানো মাদকবিরোধী অভিযানে গত বছর ২১ হাজার ৯৯২ জনের বিরুদ্ধে বিশ হাজারের বেশি মামলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 June 2022, 11:14 AM
Updated : 26 June 2022, 02:46 PM

রোববার সচিবালয়ে ‘মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস’ উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য তুলে ধরেন তিনি।

মন্ত্রী জানান, ২০২১ সালে এসব অভিযানে সারাদেশে ইয়াবা, হেরোইন, গাঁজা, ফেনসিডিলসহ বিভিন্ন ধরনের ‘বিপুল পরিমাণ’ মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়। এসব ঘটনায় মামলা হয় মোট ২০ হাজার ৫৯২টি।

মাদক পাচার এবং এর অবৈধ ব্যবহার বন্ধে পুলিশ, বিজিবি, কোস্টগার্ড, র‍্যাব, কাস্টমস ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন বাহিনী কাজ করে যাচ্ছে বলে জানান তিনি।

১৯৮৮ সাল থেকে প্রতিবছর ২৬ জুন জাতিসংঘ ঘোষিত ‘মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস’ পালিত হয়ে আসছে বিশ্বব্যাপী। এববছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘মাদকসেবন রোধ করি, সুস্থ সুন্দর জীবন গড়ি’।

মাদকের অপব্যবহার রোধে জনসচেতনতা সৃষ্টি এবং মাদকাসক্তির চিকিৎসার বিষয়ে সবাইকে অবহিত ও উদ্বুদ্ধ করাই এ দিবস পালনের লক্ষ্য।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মাদকবিরোধী শিক্ষামূলক গতানুগতিক প্রচার কার্যক্রমের বদলে সরকার ‘সৃজনশীল’ প্রচারণা চালা। মাদকাসক্তদের চিকিৎসা সেবা বাড়াতে সরকারি হাসপাতালে শয্যাসংখ্যা বাড়ানর পাশাপাশি বেসরকারি নিরাময়কেন্দ্রের লাইসেন্স সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে।

এ ছাড়া বেসরকারি মাদকাসক্তি নিরাময়কেন্দ্রগুলোর কার্যক্রম তদারকির জন্য বিভাগ ও জেলা পর্যায়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “ওই কমিটিগুলো মাদকাসক্তি নিরাময়কেন্দ্রগুলোর কাজ নিয়মিত নজরে রাখছে।”

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, মাদকাসক্তদের চিকিৎসার একটি সুনির্দিষ্ট গাইডলাইন করার উদ্যোগ নিয়েছে জাতীয় মাদকবিরোধী কমিটি। একটি কারিগরি কমিটি অংশীজনদের সঙ্গে কর্মশালা ও সভা করে গাইডলাইনের খসড়া চূড়ান্ত করছে।

মেথামফেটামিন মাদক আইস প্রসঙ্গে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আইস নামে একটি ভয়ঙ্কর মাদক মিয়ানমার থেকে এসেছে। মিয়ানমারকে আমরা বহু অনুরোধ করেছি, তারা অনেক কথা বলেন, কিন্তু কোনোটাই তারা কার্যকর করেন না।

"প্রতিশ্রুতি অনেক কিছুই দেন কিন্তু কোনোটাই কার্যকর করেন না। তাদের ইয়াবা সরবরাহ বন্ধ করার জন্য বলেছি। রোহিঙ্গারা ফাঁক-ফোকর দিয়ে ইয়াবা আনার চেষ্টা করছেন। "

মন্ত্রী বলেন, “মাদক কারবারের সঙ্গে যেই জড়িত থাকুক, অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যব্স্থা নেওয়া হচ্ছে। মাদকবিরোধী কার্যক্রমে সক্ষমতাও বাড়ান হচ্ছে।”