শুক্রবার সেই মার্কিন নাগরিক রবার্ট মাইরন বার্কারের (৭৮) লাশ গাজীপুরের একটি গির্জায় সমাধিস্থ করা হয়েছে।
এসময় ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তারা এবং বার্কারের বাংলাদেশি স্ত্রী মাজেদা বেগম উপস্থিত ছিলেন।
এনজিও কর্মী বার্কারের লাশ নিয়ে দীর্ঘদিন অপেক্ষায় ছিলেন জানিয়ে দক্ষিণখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুনুর রহমান জানান, ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের অনাপত্তিপত্র (এনওসি) পেয়ে শুক্রবার গাজীপুরের একটি চার্চকে লাশ সৎকারের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
২০১৮ সালের মে মাসে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান বার্কার। মৃত্যুর সময় তার বয়স ছিল ৭৮ বছর। এনজিওতে কাজ নিয়ে বাংলাদেশে এসেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের এ নাগরিক। এখানে একটি হাসপাতালে পরিচয়ের সূত্র ধরে ২০১৪ সালে মাজেদা নামে বাংলাদেশি নারীকে বিয়ে করেন।
পুলিশ জানায়, মার্কিন নাগরিক হওয়ায় দূতাবাসের অনুমোদন ছাড়া তার সৎকার করা যাচ্ছিল না। আবার তার লাশ যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানোর বিষয়েও সেখানে তার স্বজনদের সাড়া পাওয়া যাচ্ছিল না।
এ কারণে চার বছর ধরেই ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গের ফ্রিজারে পড়ে ছিল বার্কারের লাশ।
বার্কারের সৎকারের আনুষ্ঠানিকতায় থাকা দক্ষিণখান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আজিজুল হক মিয়া জানান, শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মর্গ থেকে পুলিশ চার্চের প্রতিনিধিদের হাতে বার্কারের লাশ হস্তান্তর করে। এসময় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের ভাইস কনস্যুলার উপস্থিত ছিলেন।
বার্কারের বাংলাদেশি স্ত্রী মাজেদা বেগম আগেই দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে গাজীপুরের ওই চার্চে যান।
পুলিশ, দূতাবাসের কর্মকর্তা ও স্ত্রীর উপস্থিতিতে চার্চের কবরস্থানে বার্কারকে সমাধিস্থ করা হয় বলে জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।