ডিলার নিযুক্ত করায় দেরি এবং প্রক্রিয়াগত জটিলতা নিয়ে অস্পটতা থাকার কথা বলেছেন অনেক ডিলার। অনেকে জানিয়েছেন, ফ্যামিলি কার্ডধারীর তালিকা তৈরির কাজ শেষ হয়নি, তাই পণ্য বিক্রিও শুরু হয়নি।
বাজারে সুলভ মূল্যে পণ্য বিক্রির ‘ট্রাক সেল’ কার্যক্রমের সমাপ্তি টেনে বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে ডিলারের মাধ্যমে ফ্যামিলি কার্ডধারীদের কাছে ডাল, চিনি ও সয়াবিন তেল বিক্রি শুরু করেছে টিসিবি।
ঢাকার দক্ষিণ সিটি করপোরেশনভুক্ত এলাকায় ২৭টি এবং উত্তর সিটি করপোরেশনভুক্ত এলাকায় ১৬টি মুদি দোকানকে ডিলার হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া জেলা, উপজেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে একইভাবে ডিলার নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।
বুধবার মিরপুর, খিলাগাঁও, পল্লবী এলাকায় নিযুক্ত পাঁচজন ডিলারের সঙ্গে যোগাযোগ করে মাত্র একজনকে টিসিবির দামে পণ্য বিক্রি শুরু করতে দেখা গেছে। বাকি সবাই টিসিবির দপ্তরে টাকা জমা দেওয়ার কাজে ব্যস্ত ছিলেন।
মিরপুর বর্ধিত পল্লবীর রেশন বিতরণ ডিলার খান জেনারেল স্টোরের মো. গোলাম রসুল খান জানান, “আমাকে ডিলার হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার মেসেজ পেয়েছি গতকাল রাতে। তাই টিসিবির কাছে টাকা জমা দিতে পারিনি।”
বুধবার দুপুর ১২টায়ও টিসিবি কার্যালয়ের বসে আছেন জানিয়ে তিনি বলেন, “টিসিবি আমাদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ না দেওয়ার কারণে সকাল থেকে কোন ব্যাংকে, কোন একাউন্টে টাকা জমা করতে হবে তা আমরা জানতাম না। এখন জানলাম ট্রাস্ট ব্যাংকে টিসিবির একাউন্টে টাকা জমা করতে হবে।
পল্লবীর জন্য নির্ধারিত আরেক ডিলার বিসমিল্লাহ জেনারেল স্টোরে ফোন করলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২ নম্বর ওয়ার্ডে উত্তর গোড়ানের সিপাহীবাগ বাজারে মোস্তফা ট্রেডার্সের সামনে দেখা যায়, বেলা ১২টা থেকে কার্ডধারীরা পণ্য কিনতে লাইন ধরেছেন। বেলা ১টার দিকে পণ্য বিক্রি শুরু হয়।
দেখা গেছে, দোকানি প্রথমে কার্ডের তথ্যগুলো একটি টালি খাতায় তোলেন। তারপর ৪০৫ টাকার বিনিময়ে ২ লিটার তেল, ২ কেজি মসুর ডাল ও এক কেজি চিনি সরবরাহ করেন।
ডিলার কার্ডের ১৪টি ক্রমিকের ঘরের মধ্যে প্রথম ঘরে স্বাক্ষর দিচ্ছেন। পুরো প্রক্রিয়া শেষ হতে ২ থেকে তিন মিনিট সময় লাগছে।
দক্ষিণ সিটির ৩ নম্বর ওয়ার্ডে নাছিমা স্টোরের বিক্রেতা বলেন, “আমরা পণ্য বুঝে পেয়েছি। কিন্তু সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের তালিকা প্রস্তুত না হওয়ায় বিক্রি শুরু করা যায়নি।”
বন্যার কারণে মাদারীপুর, শরীয়তপুর, গোপালগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জ জেলায় টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু হবে ২৬ জুন।
ফ্যামিলি কার্ডধারী একজন ব্যক্তি বা পরিবার ৫৫ টাকা কেজি দরে এক কেজি চিনি, ৬৫ টাকা কেজি দরে দুই কেজি মসুর ডাল, ১১০ টাকা লিটার দরে দুই লিটার সয়াবিন তেল কিনতে পারবেন। এই সময়ের মধ্যে একজন কার্ডধারী একবারই এসব পণ্য কিনতে পারবেন।