কে জিতল বিবেচ্য নয়, ‘জনরায় চায়’ যুক্তরাষ্ট্র: পিটার হাস

ভোটে কে জিতল সেটা বিবেচ্য নয়, বরং বাংলাদেশের মানুষ যাতে তাদের নেতা বেছে নিতে পারে, যুক্তরাষ্ট্র এমন একটি নির্বাচন চায় বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 June 2022, 01:38 PM
Updated : 8 June 2022, 01:38 PM

বুধবার দুপুরে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।

পিটার হাস বলেন, “আমি আগে যা বলেছি আবারও সেটাই বলব যে, নির্বাচনে কে জিতল সেটা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ভাবে না। আমরা কেবল এমন একটি নির্বাচন চাই, যেখানে বাংলাদেশের জনগণ তাদের নেতা বেছে নিতে পারে।”    

বাংলাদেশে নিযুক্ত হওয়ার তিন মাসের মধ্যে বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত। তারই অংশ হিসেবে তিনি সিইসির সঙ্গে বৈঠক করেন।

এসময় যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়ার পাশাপাশি পরিস্থিতি বোঝারও চেষ্টা করেন তিনি।

রাষ্ট্রদূত জানান, পুরো নির্বাচন এবং নির্বাচন প্রক্রিয়ায় নির্বাচন কমিশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে শুধু নির্বাচন কমিশন নয়, সরকার, রাজনৈতিক দল, গণমাধ্যম ও জনগণেরও ভূমিকা রয়েছে।

সাক্ষাৎ শেষে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, “নির্বাচন সম্পর্কে রাষ্ট্রদূত তেমন কিছু আলোচনা করেনি। নির্বাচন সম্পর্কে আমরা কেমন ফিল করি জানতে চান- এটা নিয়ে কিছুটা ব্রিফ দিলাম। আমেরিকার মতো এতো স্মুথ নয়।

“একটু টার্বুলেন্ট হবেই। সবসময় হয়ে আসছে। ওই দিক থেকে প্রিপেয়ার্ড নির্বাচন পরিচালনার জন্য।”

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন আগের চেয়েও স্বচ্ছ হবে আশ্বাস দিয়ে সিইসি বলেন, “আমরা সবার সহযোগিতা নিয়ে আশা করি আগামী নির্বাচনটা সফল হবে। …আমরা নির্বাচন সুষ্ঠু করার চেষ্টা করব।” 

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল

“পর্যবেক্ষকদের অ্যালাও করার চেষ্টা করব। আমরা আশা করি, আমাদের নির্বাচনটা আগের চেয়ে স্বচ্ছ হবে।”

এসময় নানা ধরনের সীমাবদ্ধতার কথা উল্লেখ করলেও ভালো নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রত্যয় ব্যক্ত করেন সিইসি। তিনি জানান, ভোটকেন্দ্রগুলোয় সিসি ক্যামেরা রাখার চেষ্টা করা হবে।

মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন- ইভিএম এবং ভোটের চ্যালেঞ্জ নিয়ে কথা হয়নি বলে জানান সিইসি।

দলগুলোর বিপরীতমুখী অবস্থানের মধ্যেও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে ভোটের আশ্বাস দিয়ে হাবিবুল আউয়াল বলেন, “উনিও যেটা ফিল করছেন- এখনও সব পার্টিগুলো তো ইয়ে হচ্ছে না তো।

“উনিও বিশ্বাস করেন কর্ডিয়াল এটমোস্ফেয়ার হবে। আমাকে এজন্য উইশ করেছেন-রাজনৈতিক দলগুলার মধ্যে হয়তো সমঝোতা হতে পারে। এটা রাজনৈতিক নেতৃত্ব বুঝবেন।”

মার্কিন দূত পিটার হাস অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের প্রত্যাশা রেখেছেন জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, “আমরা চাই। উনি চেয়েছেন নির্বাচন ফ্রি ফেয়ার হলে ভালো হয়, অংশগ্রহণমূলক হবে।

“সহসা দলগুলোর সঙ্গেও সংলাপে বসব। অংশগ্রহণমূলক কীভাবে করা যায় সে দিকটা আমাদের তরফ থেকে তাদের সঙ্গে আলোচনা করলে একটা ওয়ে আউট হবে। ”

২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে ২০২৪ সালের জানুয়ারির মধ্যে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোট অনুষ্ঠিত হবে।

আরও পড়ুন: