সীতাকুণ্ডের বিএম ডিপো মালিকদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে যে বিএম কন্টেইনার ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণে বহু হতাহতের ঘটনা ঘটেছে, তার মালিকদের ভূমিকা নিয়ে উঠেছে নানা প্রশ্ন।

মিন্টু চৌধুরী চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 June 2022, 07:27 PM
Updated : 7 June 2022, 07:27 PM

অগ্নিকাণ্ডের পর সেখানে মালিক পক্ষের কাউকে খুঁজে না পাওয়ার কথা বলছিলেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ কর্মকর্তারা।

ডিপোতে রাসায়নিক রাখার অনুমোদন নেওয়া ছিল না বলেও জানিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর এবং বিস্ফোরক অধিদপ্তর।

নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে যৌথউদ্যোগে গড়ে তোলা এই কন্টেইনার ডিপোটির বাংলাদেশি অংশীদার স্মার্ট গ্রুপের মালিকদের একজন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতা।

সেই কারণে ৪১ মৃত্যু ও ২ শতাধিক আহত হওয়ার এই ঘটনায় সরকারের তরফে কোনো মামলা হয়নি বলে সংসদে অভিযোগ তুলেছে বিএনপি। এটি ‘অনিয়মের ডিপো’ হয়ে উঠলেও সরকারের তদারকি ছিল না বলে তাদের অভিযোগ।

তবে এই ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠনের কথা জানিয়ে তার ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

ডিপো ব্যবস্থাপনা নিয়ে ফায়ার সার্ভিস, বিস্ফোরক ও পরিবেশ অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন সংস্থা মালিকের দায় দেখলেও সে অভিযোগ মানতে রাজি নন স্মার্ট গ্রুপ।

অগ্নিকাণ্ডের পর সেখানে উপস্থিত ছিলেন বলেও দাবি করেছেন স্মার্ট গ্রুপের পরিচালক আজিজুর রহমান। হতাহতের ক্ষতিপূরণ দিতে নানা পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও বলছেন তিনি।

সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নের কেশবপুর গ্রামে অবস্থিত কন্টেইনার ডিপোটিতে শনিবার রাতে আগুন লাগার পর একের পর এক বিস্ফোরণ ঘটে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কন্টেইনার ডিপোতে শনিবার রাতে আগুন লাগার পর শত শত কন্টেইনার পোড়ার সঙ্গে দফায় দফায় ঘটে বিস্ফোরণ। ছবি: সুমন বাবু

এতে ফায়ার সার্ভিসের নয় কর্মীসহ ৪১ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। ডিপোতে আরও দেহাবশেষ থাকার শঙ্কা করছে উদ্ধারকারীরা।

ফায়ার সার্ভিসসহ সরকারি বিভিন্ন সংস্থার পর্যবেক্ষণে বলা হচ্ছে, ডিপো কর্তৃপক্ষের অবহেলা এবং রাসায়নিক রাখার নিয়ম না মানায় এধরনের ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেছে।

সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, স্থানীয় প্রশাসন দুর্ঘটনাস্থলে টানা দায়িত্ব পালন করলেও মালিকদের কাউকে দেখা যায়নি।

ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তারা অভিযোগ তুলেছেন, মালিক পক্ষের সহযোগিতা পাননি বলে আগুন নেভাতে গিয়ে তাদের নয়জন কর্মীকে প্রাণ হারাতে হয়।

ফায়ার সার্ভিসের চট্টগ্রামের উপ-পরিচালক মো. আনিসুর রহমান মঙ্গলবারও বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ডিপো কর্তৃপক্ষ ঘটনার দিন এমন কোনো তথ্য দেননি যে এখানে হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড বা এ জাতীয় কোনো রাসায়নিক আছে।

“সেটা জানা না থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে কুমিরা ও সীতাকুণ্ড এই দুই স্টেশনের আমাদের জনবল, অফিসার এবং গাড়ি সবকিছুই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।”

সীতাকুণ্ড থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ বলছেন, “দুর্ঘটনার পর থেকে মালিকদের কাউকে আমরা পাইনি বা তারা আমাদের সাথে যোগযোগ করেননি।”

দুর্ঘটনার পর বিস্ফোরক অধিদপ্তর ও পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে বলা হয়, ডিপোটিতে রাসায়নিক বা দাহ্য পদার্থ রাখার অনুমতি ছিল না। শুধু হাইড্রোজেন পার অক্সাইডের কারণে আগুন লেগে বিস্ফোরণ হয়নি। সেখানে অন্য কোন দাহ্য পদার্থের উপস্থিতি থাকতে পারে বলে ধারণা তাদের।

রাসায়নিক রাখার বিষয়ে ওই ডিপো কর্তৃপক্ষ কোনো ধরনের ছাড়পত্র পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে নেয়নি বলে সংস্থাটির চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক মুফিদুল আলম জানান।

ডিপোর মালিকানায় যারা

চট্টগ্রাম শহর থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে ২৪ একর জায়গা নিয়ে ২০১১ সালের মে মাসে বিএম কন্টেইনার ডিপোটি গড়ে উঠে। যৌথ মালিকানা হলেও ডিপোর বেশিরভাগ শেয়ারের মালিক মূলত স্মার্ট গ্রুপ।

এই ডিপোতে আমদানি ও রপ্তানি পণ্যের কন্টেইনার ব্যবস্থাপনা ও খালি কন্টেইনার সংরক্ষণের কাজ হয়ে থাকে।

রপ্তানি পণ্য ভর্তি কন্টেইনার এখানে আসার পর বিদেশে পাঠানোর জন্য জাহাজ ভর্তি করতে চট্টগ্রাম বন্দরে পাঠানো হয়ে থাকে। এছাড়া আমদানিপণ্য ভর্তি কন্টেইনার ডিপোতে এনে বিভিন্ন প্রক্রিয়া শেষ করে সংশ্লিষ্ট মালিকদের কাছে পাঠানো হয়।

দেশের অন্যতম শীর্ষ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান স্মার্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মুস্তাফিজুর রহমান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মুজিবুর রহমান। বিএম ডিপোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক হলেন মুস্তাফিজুর। আর তার ছোট ভাই মুজিব সেটির পরিচালক।

এর ৩৫ লাখ শেয়ারের মধ্যে এক লাখ ৩৮ হাজার শেয়ার রয়েছে মুস্তাফিজুর রহমানের নামে, পরিচালক মুজিবের নামে আছে ১৫ হাজার শেয়ার। নেদারল্যান্ডসের প্রতিষ্ঠানটি ২০১৭ সালে স্মার্ট গ্রুপের অন্য প্রতিষ্ঠান স্মার্ট জিন্সের নামে ১৮ লাখ ৩৬ হাজার শেয়ার হস্তান্তর করে। স্মার্ট গ্রুপের পার্টনার নেদারল্যান্ডসের প্রতিষ্ঠান প্রংক পার্টিসিপেটের নামে আছে ১৫ লাখ ১১ হাজার শেয়ার।

ডিপোটিতে কন্টেইনার ধারণক্ষমতা নিয়ে ধোঁয়াশা থাকলেও সেখানে দুর্ঘটনার দিন ৪ হাজার ৩০০টি কন্টেইনার ছিল বলে জানা গেছে। সেখানকার বেশিরভাগ কন্টেইনারই তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের।

এছাড়া মুজিবুর রহমানের মালিকানাধীন আল-রাজী কেমিকেল কমপ্লেক্স নামে একটি প্রতিষ্ঠানের তৈরি হাইড্রোজেন পার অক্সাইড সেখানে রপ্তানির জন্য রাখা ছিল।

কোম্পানি সংশ্লিষ্টরা জানান, বড় ভাই মুস্তাফিজ ডিপোটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হলেও মূলত সব ব্যবসা দেখাশোনা করে থাকেন মুজিবুর রহমান নিজেই।

সাত ভাইয়ের মধ্যে পঞ্চম মুজিবের বাড়ি চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার নাপোড়া গ্রামে। তিনি চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষের পদে রয়েছেন।

৪৮ বছর বয়সী মুজিবুর রহমান গত সংসদ নির্বাচনে বাঁশখালী সংসদীয় আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোননয়ন চেয়েছিলেন, তবে পাননি।

পারিবারিক ব্যবসা হলেও স্মার্ট গ্রুপের অধীনে সব ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম মুজিবুর রহমান তত্ত্বাবধান করে থকেন। এ ব্যবসায়িক গ্রুপটির তৈরি পোশাক, এলপিজি, কন্টেইনার ডিপো, খাদ্যপণ্য ও রিয়েল এস্টেট খাতে বিপুল বিনিয়োগ রয়েছে।

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কন্টেইনার ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের মধ্যে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরাও আছেন। ছবি: সুমন বাবু

গ্রুপটির ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী মোট ১২টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে দৈনিক পূর্বদেশ নামে চট্টগ্রামের একটি আঞ্চলিক পত্রিকার মালিকও তারা। যেটির সম্পাদক মুজিবুর রহমান নিজেই।

গ্রুপটির অন্য প্রতিষ্ঠানগুলো হল- স্মার্ট জিন্স, স্মার্ট জ্যাকেট লিমিটেড, সেহান স্পেলাইজড টেক্সটাইলস মিলস লিমিটেড, বিএম এনার্জি লিমিটেড, বিএম এনার্জি লিমিটেড-ইউনিট ২, ডেনিম মিলস লিমিচটড, গ্লোব টেক্সাইলস মিলস লিমিটেড, সিটি হোম প্রপার্টিস লিমিটেড, স্মার্ট শেয়ার ও সিকিউরিটিজ লিমিটেড এবং স্মার্ট বায়ো ইনসেপশন লিমিটেড।

এর বাইরে চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার অধীনে মহানগরীর ১ নং পাহাড়তলী ওয়ার্ডের ঠাণ্ডাছড়িতে আল-রাজী কেমিকেল কমপ্লেক্স নামে রাসায়নিক তৈরির একটি কারখানা করেছে। সেখানে তৈরি হাইড্রোজেন পার অক্সাইড বিদেশে রপ্তানির জন্য বিএম ডিপোতে রাখা হয়েছিল।

সীতাকুণ্ডে অগ্নিকাণ্ড ও বিষ্ফোরণের পর এ কমপ্লেক্সটি আলোচনায় উঠে এসেছে। ঠাণ্ডাছড়ি এলাকার প্রাকৃতিক পরিবেশ নষ্ট করে রাসায়নিকের এ কারখানা গড়ে তোলা হয়েছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।

স্মার্ট গ্রুপের অধীন চিটাগাং ডেনিম লিমিটেড, সিটি হোম প্রপার্টিজ ও বিএম এনার্জি লিমিটেড নেদারল্যান্ডের ব্যবসায়ীর সাথে যৌথ উদ্যোগে গড়ে উঠেছে। 

‘করপোরেট সোস্যাল রেসপনসিবিলিটির (সিএসআর)’ আওতায়, নিজেদের গ্রামের বাড়ি বাঁশখালী উপজেলায় বিভিন্ন সামাজিক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যরা।

ভাইদের অনেকেই স্মার্ট গ্রুপ পরিচালনায় থাকলেও সবসময়ই মুজিবুর রহমানকেই সামনে দেখা যায়। দেশের রপ্তানি বাণিজ্যে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি ২০১৮ সাল পর্যন্ত পাঁচ বার সিআইপি নির্বাচিত হন।

যা বলছে মালিক পক্ষ

স্মার্ট গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বিএম ডিপোর পরিচালক মুজিবুর রহমানের সঙ্গে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলেও তিনি কোনো কথা বলতে রাজি হননি।

তার বড় ভাই স্মার্ট গ্রুপের পরিচালক আজিজুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “দুর্ঘটনার পর মালিকদের কেউ ঘটনাস্থল বা হাসপাতালে যায়নি, সেটা মিথ্যাচার।

“শনিবার গভীর রাতে বিস্ফোরণের পরই আমি ও আমার ভাই মুজিব ডিপো এলাকায় গিয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেছি, তদারকি করেছি। সেখানে হাজারো মানুষের মধ্যে কে মালিক কে শ্রমিক, তা তো কেউ দেখেনি।”

“দুর্ঘটনাস্থলে আগুন নেভানোর কাজে আমাদের কর্মীরা সহযোগিতা করছে,” দাবি করেন তিনি।

ডিপো থেকে হাসপাতালেও গিয়েছিলেন দাবি করে আজিজ বলেন, “আমরা পরবর্তীতে হাসপাতালে গিয়েছি, চিকিৎসার জন্য অর্থ সহায়তা, মৃতদের সহায়তার কাজ করেছি। এখনও আমাদের ৫০ জনের মতো স্বেচ্ছাসেবক চট্টগ্রাম মেডিকেলে অসুস্থদের সেবায় কাজ করছে। আমি নিজেও সোমবার হাসপাতালে গিয়ে আহতদের খোঁজ খবর নিয়েছি।”

নিয়ম না মেনে ডিপোতে রাসায়নিক সংরক্ষণ এবং ছাড়পত্র না নেওয়ার বিষয়ে আজিজ পাল্টা প্রশ্ন ছোড়েন- “বিদেশি একটি প্রতিষ্ঠানের সাথে জয়েন্ট ভেঞ্চারে বিএম কন্টেইনার ডিপো স্থাপন করা হয়। সকল নিয়ম না মানলে কি আমাদের অনুমোদন দেওয়া হত?”

হাইড্রোজেন পার অক্সাইড রাখা নিয়ে তিনি বলেন, “হাইড্রোজেন পার অক্সাইড বেশ কয়েক বছর আগে থেকেই বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করছি আমরা। তখন তারা কই ছিলেন?”

ভয়াবহ দুর্ঘটনার দায় এড়াতে পারেন কি না- প্রশ্ন করা হলে আজিজ বলেন, “একটি বড় ঘটনা ঘটেছে। আগুন নেভানো, আহতদের চিকিৎসার কাজ চলছে। আমরা সবধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছি। ভবিষ্যতেও সব সহযোগিতা করব। এ ঘটনায় বেশ কয়েকটি তদন্ত কমিটি হয়েছে। তাদের প্রতিবেদন পেলে বোঝা যাবে আসল ঘটনা কী।”

আল রাজী কেমিকেলও ছাড়পত্র নবায়ন করেনি

বিএম ডিপোতে আগুন লেগে বিস্ফোরণের ঘটনার পর আলোচনায় এসেছে সেখানে থাকা হাইড্রোজেন পার অক্সাইড নিয়ে।

হাটহাজারীতে স্থাপিত স্মার্ট গ্রুপের এই কারখানা পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নবায়ন না করেই হাইড্রোজেন পার অক্সাইড উৎপাদন করছিল।

অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম মহানগর কার্যালয়ের পরিচালক হিল্লোল সাহা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “প্রতিষ্ঠার সময় ছাড়পত্র নিলেও ২০২১ সালের পর তাদের ছাড়পত্র নবায়ন করা হয়নি। ইটিপির শর্ত পালন না করায় কেমিকেল কমপ্লেক্সের ছাড়পত্র নবায়ন করা হয়নি।”

ঠাণ্ডাছড়ি এলাকায় ১৪ একর জমির মধ্যে তিন একর জুড়ে কেমিকেল কমপ্লেক্সটি করা হয়েছে। সেখানে উৎপাদন করা হাইড্রোজেন পার অক্সাইড পাকিস্তান, কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম, বেলজিয়ামসহ বিভিন্ন দেশে এসব রাসায়নিক রপ্তানি করা হয়।

ছাড়পত্র নবায়ন না করে উৎপাদন প্রসঙ্গে স্মার্ট গ্রুপের পরিচালক আজিজ বলেন, “সকল নিয়ম মেনেই সেখানে হাইড্রোজেন পার অক্সাইড উৎপাদন হয় এবং বিদেশে রপ্তানি করা হয়। অনুমতি দেয়ার ক্ষেত্রে একটির সাথে অন্য সংস্থাযুক্ত আছে। একটিতে কোনো সমস্যা হল উৎপাদনের অনুমতিই তো পাওয়ার কথা না।”