শনিবার আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার সাইফুর রহমান জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সরাসরি সুপ্রিম কোর্টে প্রবেশের ‘ন্যায় সরণি’ গেইটটি রোববার থেকে সার্বক্ষণিক বন্ধ থাকবে।
আদালতে প্রবেশ ও বের হওয়ার অন্যান্য গেইটের বিষয়ে তিনি বলেন, রোববার সকাল সাড়ে ১০টার পর থেকে সুপ্রিম কোর্টের মূল গেইট (গণপূর্ত অধিদপ্তরের উল্টো) সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে।
জাজেস স্পোর্টস কমপ্লেক্স সংলগ্ন মসজিদ গেইট সকাল ৮ থেকে সকাল ১১টা পর্যন্ত খোলা রাখা হবে।
তবে সুপ্রিম কোর্ট মাজার গেইট সার্বক্ষণিক খোলা থাকবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী বৃহস্পতিবার ছাত্রদল নেতাকর্মীরা হাই কোর্ট এলাকা থেকে মিছিল বের করে দোয়েল চত্বরের দিকে অগ্রসর হলে ছাত্রলীগের সঙ্গে সংঘর্ষ বেধে যায়।
এ সময় দুই পক্ষই ঢিল ছুড়তে থাকে। পরে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা হাই কোর্টের ভেতরে অবস্থান নেন। সেখানেও তাদের ওপর চড়াও হন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
এ সময় কোর্ট এলাকায় থাকা বিএনপির সাবেক নেতা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তৈমুর আলম খন্দকারের গাড়ির পেছনের অংশ ভাংচুর করা হয় বলে অভিযোগ করা হয়।
এসব ঘটনার পর সুপ্রিম কোর্ট, আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।
সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. বজলুর রহমান, রমনা অঞ্চলের ডিসি, আপিল ও হাই কোর্টের রেজিস্ট্রার ও নিরাপত্তাসংশ্লিষ্টদের নিয়ে এ বৈঠক হয়।
ওই বৈঠকে সুপ্রিম কোর্টের গেইটগুলোতে নিরাপত্তা কড়াকড়ি থাকবে বলে সেদিন জানিয়েছিলেন আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার সাইফুর রহমান।
আরও পড়ুন