শনিবার বিকালে তার কফিন জাতীয় প্রেস ক্লাবে আসার পর সাংবাদিকরা পুস্পস্তবক অর্পন করে তার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানান।
প্রেস ক্লাব থেকে বিকাল সাড়ে ৪টায় মরহুমের কফিন মীরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে নিয়ে যাওয়া হয়, সেখানে তাকে তার সহধর্মিনীর পাশে দাফন করা হবে।
গত ১৯ মে লন্ডনের একটি হাসপাতালে মারা যান ৮৮ বছর বয়সী সাংবাদিক-সাহিত্যিক গাফফার চৌধুরী।
তিনি জাতীয় প্রেস ক্লাবের সদস্য ছিলেন।
প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমীন, সিনিয়র সহসভাপতি হাসান হাফিজ, সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, যুগ্ম সম্পাদক মাইনুল আলম ও আশরাফ আলী, কোষাধ্যক্ষ শাহেদ চৌধুরীসহ ক্লাব কর্মকর্তারা তার মরদেহের সামনে পুস্পস্তবক দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং কিছুক্ষণ নিরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইংয়ের পক্ষে প্রেস সচিব ইহসানুল করিম ও উপ প্রেস সচিব হাসান জাহিদ তুষার প্রয়াত গাফফার চৌধুরীর কফিনে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন।
এর আগে প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গনে প্রয়াতের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সাবেক মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, আওয়ামী লীগের জাহাঙ্গীর কবির নানক ও বাহাউদ্দিন নাসিম, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য সচিব ইহসানুল করিম, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মুহাম্মদ শফিকুর রহমান, সাইফুল আলম, মোজাম্মেল হোসেন মঞ্জু, মোজাম্মেল বাবু, মঞ্জরুল আহসান বুলবুল, সোহরাব হাসান, নঈম নিজাম, রাশেদ চৌধুরী, আজিজুল ইসলাম ভুঁইয়া, আবদুল জলিল ভুঁইয়া, নুরুল আমিন রোকন, আবুল খায়ের, কাজী আবদুল হান্নান, আবু জাফর সূর্য, সোহেল হায়দার চৌধুরী, আক্তার হোসেন, নুজরুল ইসলাম মিঠু, নুরুল ইসলাম হাসিব, আইয়ুব ভুঁইয়া, শাহিন-উল ইসলাম চৌধুরী, আতাউর রহমানসহ সাংবাদিক-পেশাজীবীরা অংশ নেন।
মরহুমের মরদেহ ক্লাবে আনার আগে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বিকাল সাড়ে তিনটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
শনিবার বেলা ১১টায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজে গাফফার চৌধুরীর কফিন ঢাকায় পৌঁছায়। বিমানবন্দরে তার কফিনে সরকারের পক্ষ থেকে গ্রহণ করেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
এরপর তার মরদেহ নিয়ে আসা হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। সেখানে রাজনৈতিক দল, পেশাজীবী সংগঠনসহ সর্বস্তরের মানুষ তার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানায়।
আরও পড়ুন