জাতীয় পতাকা আবৃত গাফফার চৌধুরীর কফিনে ফুলেল শ্রদ্ধা

‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ গানের রচয়িতা, সাংবাদিক-সাহিত্যিক আবদুল গাফফার চৌধুরীর মরদেহ লন্ডন থেকে দেশে এসেছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 May 2022, 05:25 AM
Updated : 28 May 2022, 07:57 AM

শনিবার বেলা ১১টার দিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজ ‘হংসবলাকা’ গাফফার চৌধুরীর মরদেহ ঢাকায় পৌঁছে।

বিমানবন্দরে উপস্থিত থেকে সরকারের পক্ষ থেকে গাফফার চৌধুরীর মরদেহ আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করেন মন্ত্রিসভার জ্যেষ্ঠ সদস্য, মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজম্মেল হক।

উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন, বিমান প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, আওয়ামী লীগ নেতা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী বিপ্লব বড়ুয়া।

উড়োজাহাজ থেকে মরদেহ নামানোর পর জাতীয় পতাকায় ঢেকে দেওয়া হয়। পরে সেখানে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান মন্ত্রীরা।

দুপুরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাখা হবে গাফফার চৌধুরীর মরদেহ। সেখানে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী করবস্থানে তাকে দাফন করা হবে।

কয়েক মাস চিকিৎসাধীন থেকে গত ১৯ মে লন্ডনের একটি হাসপাতালে মারা যান ৮৮ বছর বয়সী গাফফার চৌধুরী। পরদিন শুক্রবার পূর্ব লন্ডনের ব্রিকলেইন মসজিদে তার প্রথম নামাজে জানাজা হয়।

বাঙালির অমর গান ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’র রচয়িতা গাফফার চৌধুরী একাত্তরের মুজিবনগর সরকারের মুখপত্র সাপ্তাহিক জয়বাংলার নির্বাহী সম্পাদক ছিলেন।

পেশায় সাংবাদিক গাফফার চৌধুরী কলামনিস্ট হিসেবে ছিলেন সুপরিচিত। গল্প-কবিতা-উপন্যাসেও তিনি রেখেছেন প্রতিভার স্বাক্ষর।

বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মান স্বাধীনতা পদকে ভূষিত গাফফার চৌধুরী স্বাধীনতার পর থেকে প্রবাসে ছিলেন।

বিমানবন্দরে মুক্তিযুদ্ধবিষয়মন্ত্রী মোজাম্মেল হক সাংবাদিকদের বলেন, “আবদুল গাফফার চৌধুরী ছিলেন ইতিহাসের জলন্ত সাক্ষী। ইতিহাসের টার্নিং পয়েন্ট তিনি জাতির সামনে তুলে ধরেছেন আজীবন। বাংলার মানুষ তার কাছ থেকে জানার জন্য অপেক্ষা করতেন।”

বাংলাদেশের বিমানের একই ফ্লাইটে গাফফার চৌধুরীর পরিবারের সদস্যরাও দেশে এসেছেন।

সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান বিমানবন্দর থেকে সরাসরি শহীদ মিনারে নেওয়া হবে গাফফার চৌধুরীর মরদেহ। দুপুর ১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য রাখা হবে সেখানে। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদ ও প্রেসক্লাবে জানাজা শেষে মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হবে তাকে।

আরও পড়ুন