হিজড়াদের ‘উপদ্রব’ প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ

সরকারি বিভিন্ন সুবিধা থাকলেও রাস্তাঘাটে হিজড়াদের ‘উপদ্রব’ না কমায় এর প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 May 2022, 05:16 PM
Updated : 26 May 2022, 05:16 PM

বৃহস্পতিবার সংসদ ভবনে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ নিয়ে আলোচনা হয়।

কমিটি ডাক্তারি পরীক্ষা করে প্রকৃত হিজড়া চিহ্নিত করে আইডি কার্ড দেওয়া এবং ‘উপদ্রব’ প্রতিরোধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক করে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার সুপারিশ করে বলে সংসদ সচিবালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

এ ব্যাপারে কমিটির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, “হিজড়াদের মাঝে পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয়ভাবে ব্যাপক গণসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।”

তিনি জানান, কমিটি হিজড়াদের পরিবারের সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে মোটিভেশনাল কর্মসূচি নেওয়ার বিষয়ে এবং তাদের ভাতা দেওয়ার বয়সসীমা কমানোর সুপারিশ করেছে।

বিদ্যমান নীতিমালা সংশোধন করে হিজড়াদের ভাতা দেওয়ার বয়সসীমা ৩০ বছরে কমিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলেও জানান কমিটির সভাপতি।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হিসাবে দেশে ১৩ হাজার হিজড়া রয়েছেন। এর মধ্যে চলতি অর্থবছরে এক হাজার ৯২০ জন প্রশিক্ষণ সুবিধা পেয়েছেন। শুধুমাত্র ৫০ ও তার বেশি বয়সীদের মাসে ৬০০ টাকা হারে ভাতা দেওয়া হচ্ছে।

এর আগে গত ২১ এপ্রিল সংসদীয় কমিটির বৈঠকে কাজী কানিজ সুলতানা বলেন, “হিজড়াদের সরকারিভাবে এত সুযোগ সুবিধা দেওয়া সত্ত্বেও প্রায়ই রাস্তাঘাট, বাস ও ফেরিতে তাদের উৎপাতে মানুষ অতিষ্ঠ।

“হিজড়ারা জানিয়েছে তারা সরকারিভাবে শিক্ষা, প্রশিক্ষণ কিংবা আর্থিক কোনো সহায়তাই পাচ্ছে না। তাহলে মন্ত্রণালয়ের নেওয়া হিজড়াদের এসব কর্মসূচিগুলো কোথায় নেওয়া হচ্ছে?”

হিজড়াদের কর্মক্ষম করে তোলার সঙ্গে সঙ্গে মূলধারায় রাখতে প্রয়োজনীয় কর্মসূচি গ্রহণ করার কথা বলেন তিনি।

বৈঠকে জাতীয় সংসদ ভবনের পশ্চিম পাশে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের খেলার মাঠ হিসেবে ব্যবহারের জন্য দেওয়া জমিতে মাঠ নির্মাণ কার্যক্রমের অগ্রগতি জানতে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানোর সুপারিশ করা হয়।

এছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ সহিংসতার শিকার কিশোরীদের নিরাপদ আবাসন (সেফ হোম/শেল্টার হোম) সরেজমিন পরিদর্শনের সিদ্ধান্ত নেয় সংসদীয় কমিটি। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করা হয়।

কমিটির গত বৈঠকের আলোচনায় ঝুঁকিপূর্ণ শেল্টার হোমগুলোর জরাজীর্ণ অবস্থার চিত্র উঠে আসে। লোকবল স্বল্পতায় সরকারি এই শেল্টার হোমগুলো যথাযথ সেবা দিতে পারছে না বলেও জানানো হয়।

বৈঠকে শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ান ট্রাস্টের গত ১০ বছরের অডিট রিপোর্ট স্থায়ী কমিটির সভায় উপস্থাপন এবং বনানীতে ট্রাস্টের ইউএই মৈত্রী কমপ্লেক্সের সর্বশেষ অবস্থা আগামী বৈঠকে উপস্থাপনের সুপারিশ করা হয়।