পিকে হালদারকে আদালতে হাজির হতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ

প্রায় পৌণে তিনশ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে দুদকের মামলায় প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পিকে হালদারসহ ১০ আসামিকে আদালতে হাজির হতে গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 May 2022, 01:38 PM
Updated : 25 May 2022, 01:38 PM

বুধবার ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক কেএম ইমরুল কায়েশ আগামী ৭ জুলাইয়ের মধ্যে বিজি প্রেসকে গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার আদেশ দেন।

যাদের নামে বিজ্ঞপ্তির আদেশ হয়েছে তারা হলেন- পিকে হালদারের মা লিলাবতী হালদার, পূর্ণিমা রানী হালদার, উত্তম কুমার মিস্ত্রি, অমিতাভ অধিকারী, প্রিতিশ কুমার হালদার, রাজিব সোম, সুব্রত দাস, অনঙ্গ মোহন রায় ও স্বপন কুমার মিস্ত্রি।

২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পিকে হালদারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করেন সংস্থার সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী।

মামলার এজাহারে বলা হয়, পিকে হালদার বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা ও অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ২৭৪ কোটি ৯১ লাখ ৫৫ হাজার ৩৫৫ টাকার অবৈধ সম্পদ নিজ দখলে রেখেছেন।

যা দুদক আইন, ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারায় শাস্তিযোগ্য। ওই অপরাধলব্ধ আয়ের অবৈধ উৎস, প্রকৃতি, অবস্থান, মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ, উৎস গোপন বা আড়াল করতে স্থানান্তর, রূপান্তর ও হস্তান্তর করে মানি লন্ডারিং সংক্রান্ত অপরাধ করেছেন।

গত ২৭ মার্চ মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে দুদকের অভিযোগপত্র গ্রহণ করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেওয়া হয়। বুধবার পরোয়ানা তামিল সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের পর গেজেট বিজ্ঞপ্তির এই আদেশ আসল।

দুদকের আইনজীবী মীর আহমেদ আলী সালাম জানান, এর আগে, পিকে হালদারসহ ১৪ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক। এর মধ্যে চার আসামি গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন।

এদিন তাদের আদালতে হাজির করা হয়। এই চার আসামি হলেন- পিকে হালদারের বান্ধবী অবন্তিকা বড়াল, শংখ বেপারী, সুকুমার মৃধা ও অনিন্দিতা মৃধা।

হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠার পর পালিয়ে থাকা পিকে হালদার গত ১৪ মে ভারতের কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট- ইডি’র হাতে গ্রেপ্তার হয়।

এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক পি কে হালদার নামে-বেনামে পিপলস লিজিংসহ নানা আর্থিক প্রতিষ্ঠান খুলে হাজার কোটি টাকা লোপাট করে বিদেশে পালিয়ে যান বলে ২০২০ সালের শুরুতে খবর আসে।

এরপর দুদক তদন্তে নেমে পি কে হালদার ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে ৩৪টি মামলা করে। এছাড়া গত ১৯ মে আরও একটি মামলা করে দুদক। এর মধ্যে এই মামলাতেই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল হয়।

আরও পড়ুন