নিয়ম ভেঙে কালো ওয়াকিটকি সেট বিক্রি, গ্রেপ্তার ২

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন- বিটিআরসির নির্দেশনা লঙ্ঘন করে কালো রঙের ওয়াকিটকি সেট বিক্রির অভিযোগে একটি প্রতিষ্ঠানের মালিকসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 May 2022, 01:09 PM
Updated : 23 May 2022, 01:09 PM

গ্রেপ্তাররা হলেন- অলেফিল ট্রেড করপোরেশনের মালিক মো. আব্দুল্লাহ আল সাব্বির (৩৩) এবং তার সহযোগী মো. আল মামুন (২৭)।

রোববার রাতে র‌্যাব-৩ এবং বিটিআরসি’র যৌথ অভিযানে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এবং স্টেডিয়াম মার্কেট এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

র‍্যাব-৩ এর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গ্রেপ্তাররা অবৈধভাবে ওয়াকিটকি এবং এর যন্ত্রাংশ নিজেদের কাছে মজুদ রেখে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করত।

বিটিআরসির নির্দেশনা অনুযায়ী সরকারি প্রতিষ্ঠান ছাড়া অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির কালো রঙের ওয়াকিটকি সেট ব্যবহার করা দণ্ডনীয় অপরাধ।

গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে ১৬৮টি ওয়াকিটকি সেট, ৩৫টি ব্যাটারি, ৩২টি চার্জার, ৬৩টি অ্যান্টেনা, ছয়টি মাউথ স্পিকার এবং ছয়টি ব্যাক ক্লিপ উদ্ধার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তাররা জানান, তারা নিজেদের ওয়েব সাইট এবং ফেইসবুক পেইজের মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে বেতার যন্ত্র ওয়াকিটকি সেট বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করে আসছে।

কিন্তু ওয়াকিটকি সেট ব্যবহার সংক্রান্ত লাইসেন্স ও কারিগরি গ্রহণযোগ্যতা সংক্রান্ত সনদ বা কোনো ধরনের বৈধ কাগজপত্র তারা দেখাতে পারেনি বলে জানায় র‍্যাব।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা এসব ওয়াকিটকি সেটের ফ্রিকোয়েন্সি ২৪৫-২৪৬ মেগাহার্জ। এসব ওয়াকিটকি ব্যবহার করে রিপিটার ছাড়া আধা কিলোমিটার পর্যন্ত যোগাযোগ করা সম্ভব।

এছাড়া বহুতল ভবনের ওপরতলা থেকে নীচতলায় যোগাযোগ করা সম্ভব। এসব ওয়াকিটকির দাম পাঁচ হাজার থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা পর্যন্ত। ব্যাটারির চার্জ ধারণের ক্ষমতা অনুযায়ী দামের তারতম্য হয়ে থাকে।

গ্রেপ্তাররা কোনো অপরাধীর কাছে ওয়াকিটকি সেট বিক্রি করেছে কি না সে বিষয়ে কোনো সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেনি বলে বিজ্ঞপ্তিতে র‍্যাব জানায়।

অলেফিল ট্রেড করপোরেশনের মালিক আব্দুল্লাহ পাঁচ বছর ধরে অবৈধভাবে ওয়াকিটকি সেট বিক্রির সঙ্গে জড়িত এবং গ্রেপ্তার মামুন দুই বছর ধরে তার সহযোগী হিসেবে কাজ করছে।

জিজ্ঞাসাবাদে এ পর্যন্ত তারা দুই হাজারেরও বেশি ওয়াকিটকি সেট বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে অবৈধভাবে বিক্রি করেছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছে র‍্যাব।