কাউন্দিয়া এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে র্যাব-৪ এর পুলিশ সুপার জয়িতা শিল্পী জানিয়েছেন।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন, আসমা খানম শিল্পী (৩৮) ও তার স্বামী শহিদুল ইসলাম (৫২)। তাদের কাছ থেকে ৫৫টি পাস বই, ভুক্তভোগীদের ৫০টি জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি, তিনটি চেক বই এবং ছয়টি রেজিস্ট্রার জব্দ করা হয়।
জয়িতা শিল্পী জানান, একজন নারীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ওই দম্পতিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার অভিযোগ অনুযায়ী, আসমা ও শিল্পী সরকারি প্রকল্প থেকে ত্রাণ বা ঋণ পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে দরিদ্র নারীদের ছবি ও জাতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহ করতেন। এরপর ওই সব নথি ব্যবহার করে বিভিন্ন ব্যাংক ও ক্ষুদ্র ঋণ প্রদানকারী সংস্থা থেকে ঋণ নিয়ে নিজেরা আত্মসাৎ করে আসছিলেন।
ওই দম্পতি বিভিন্ন নারীকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে অর্থ আত্মসাৎ করে আসছিলেন বলেও অভিযোগ পেয়েছে র্যাব।
কাউন্দিয়া এলাকায় শহিদুলের একটি চশমার দোকান এবং একটি কাপড়ের দোকান রয়েছে জানিয়ে র্যাব কর্মকর্তা জয়িতা বলেন, “স্বামী-স্ত্রী দুজন মিলে দোকান দুটি পরিচালনা করতেন। কিন্তু এই দুটি দোকানের আড়ালে তারা বিভিন্ন নারীদের সহযোগিতার নাম বলে জাতীয় পরিচয়পত্র নিতেন। পরে ওই সব পরিচয়পত্র দিয়ে বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ তুলতেন।
“কিস্তি দেওয়ার সময় হলে তখন ভুক্তভোগী নারী বুঝতে পারেন যে, তার নামে ঋণ নেওয়া হয়েছে।”
এভাবে শতাধিক নারীর কাছ থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে ওই দম্পতি টাকা আত্মসাৎ করেছে আসছিল জানিয়ে র্যাব কর্মকর্তা জয়িতা বলেন, “গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা প্রতারণার কথা স্বীকার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে সাভার থানায় মামলা করা হয়েছে।”