শুক্রবার সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকার পূর্বাভাস থাকলেও রাতের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে বলে জানান আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশীদ।
তিনি বলেন, “বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে দেশের সব বিভাগে কিছু কিছু এলাকায় বৃষ্টি হচ্ছে। রাতে এ প্রবণতা থাকবে। মৃদু তাপপ্রবাহের বিস্তার কমে এখন চারটি এলাকায় বিরাজ করছে। বৃষ্টির কারণে কালকে তাপদাহের এলাকাও কমে আসবে।”
বৃহস্পতিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় মাদারীপুরে ৩৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একই দিনে ঢাকায় ৩৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, রাজশাহীতে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, চাঁদপুরে ৩৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং মোংলায় সর্বোচ্চ ৩৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
এদিন ভোলা, রাজারহাট, ডিমলা, সৈয়দপুর, রংপুর, শ্রীমঙ্গল, সিলেট, টেকনাফ, কুতুবদিয়া, ফেনী, চট্টগ্রাম, নেত্রকোণা, ময়মনসিংহ ও নিকলীতে বৃষ্টি হয়েছে।
বজলুর রশীদ বলেন, “বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির প্রবণতা বাড়লে সিলেট অঞ্চলের বৃষ্টি তুলনামূলকভাবে কমে আসবে। কয়েকদিন ওই অঞ্চলে বৃষ্টি ছিল, বৃহস্পতিবার থেকে প্রবণতা কমে আসছে।”
এ আবহাওয়াবিদ জানান, আগামী ২৪ ঘন্টায় রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়; ঢাকা এবং চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু'এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা কিংবা ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে বিজলী চমকানোসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
চলতি মৌসুমে দেশের ওপর দিয়ে তিন দফা তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে। এপ্রিল মাসে দুই দফা তাপপ্রবাহের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
মে মাসের প্রথম সপ্তাহে ঘূর্ণিঝড় ‘আসানি’ উপকূলের দিকে আসার আগেও তৃতীয় দফায় কয়েকদিন বিভিন্ন অঞ্চলে তাপপ্রবাহ বয়ে যায়। বৃষ্টি ঝরিয়ে ঘূর্ণিঝড়টি কেটে যাওয়ার পর চলতি সপ্তাহে চার দিন ধরে তাপপ্রবাহ চলছে।
মে মাসের দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এ মাসে দেশের পশ্চিমাঞ্চলে তীব্র তাপপ্রবাহ (সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে) ও দেশের অন্যত্র একটি বা দুটি মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
সেইসঙ্গে ভারী বর্ষণে উত্তর ও উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় কিছু এলাকায় স্বল্পমেয়াদী আকস্মিক বন্যার আভাসও ছিল।
ইতোমধ্যে উজানের ঢলে উত্তর পূর্বাঞ্চলে সিলেট ও সুনামগঞ্জের বন্যা বিরাজ করছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় বিরাজমান পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকার আভাস দিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।