এবি ব্যাংকের অর্থ আত্মসাৎ: আগাম জামিন নিতে এসে এরশাদ কারাগারে

জাল কার্যাদেশের মাধ্যমে এবি ব্যাংকের ১৭৬ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় এরশাদ ব্রাদার্স করপোরেশনের মালিক মো. এরশাদ আলীর আগাম জামিনের আবেদন নাকচ করে তাকে পুলিশে দিয়েছে হাই কোর্ট।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 May 2022, 03:55 PM
Updated : 17 May 2022, 05:13 PM

বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজহারুল হক আকন্দের হাই কোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার তাকে শাহবাগ থানা পুলিশের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়।

আদালতের রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন এ আদালতের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক, দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। অপরদিকে আসামির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শেখ মো. জাকির হোসেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আমিন উদ্দিন মানিক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আদালত মনে করেছে যে, এই আসামির অপরাধের অভিযোগ গুরুতর, তার বিরুদ্ধে ১৭৬ কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে মামলা রয়েছে। তিনি এ মামলার প্রধান আসামি। তাকে জামিন না দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে আদালত।”

গত বছরের ৮ জুন জাল কার্যাদেশ এবং অবৈধ ব্যাংক গ্যারান্টির মাধ্যমে ১৭৬ কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে এরশাদ আলী এবং এবি ব্যাংকের সাবেক দুই ব্যবস্থাপনা পরিচালক মসিউর রহমান চৌধুরী, শামীম আহমেদ চৌধুরীসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা ২০১৪ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত সময়ে একে অন্যের সহায়তায় জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে জাল কার্যাদেশ প্রস্তুত করে ছয়টি জাল কার্যাদেশের বিপরীতে ১৬৬ কোটি ১৮ লাখ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন।

মামলার বিবরণ অনুযায়ী, এবি ব্যাংকের কাকরাইল শাখার কর্মকর্তারা প্রধান কার্যালয়ের অনুমোদন ছাড়া সাতটি অবৈধ ব্যাংক গ্যারান্টির মাধ্যমে আরও ১০ কোটি টাকা ঋণ প্রদান করে, যা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করা হয়। সব মিলিয়ে আত্মসাৎ করা টাকার পরিমাণ ১৭৬ কোটি ১৮ লাখ টাকা।

গত বছর ৭ ডিসেম্বর এ মামলার দুই আসামি আগাম জামিনের আবেদন জানানলে তাদের বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়ে বাকি ১৫ আসামির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেয় হাই কোর্ট।