পি কে হালদারকে হস্তান্তর কবে? দোরাইস্বামীর উত্তর, ‘সময়মতো’

প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পি কে হালদারকে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে ‘সময়মতো’ উত্তর দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় ভারতীয় হাই কমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 May 2022, 03:07 PM
Updated : 17 May 2022, 03:07 PM

মঙ্গলবার পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “এটা একটা প্রক্রিয়া, তাই না? এই সপ্তাহান্তেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

“প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে আমাদের দিক থেকে সময়মতো প্রত্যুত্তর দেওয়া হবে। এটা বড়দিনের কার্ড বিনিময়ের মতো নয়। আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে সব বিষয় সম্পন্ন হয়েছে।

“সুতরাং সেই প্রক্রিয়াকে ক্রমান্বয়ে ঘটতে দিন। আমরা বাংলাদেশের সাথে কাজ করব, তথ্যটা বাংলাদেশ থেকেই এসেছিল।”

‘হাজার কোটি টাকা পাচার করে’ দুই বছর আগে পালিয়ে যাওয়া পি কে (প্রশান্ত ‍কুমার) হালদারকে গত শনিবার পশ্চিমবঙ্গে গ্রেপ্তার করে ভারতের কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।

গ্রেপ্তারের পর তার বিরুদ্ধে ভুয়া নাম ব্যবহার করে ভারতের আধার কার্ডসহ নাগরিকত্বের নানা নথি তৈরির অভিযোগ আসে দেশটির সংবাদ মাধ্যমে। আর্থিক দুর্নীতি নিয়েও বিচারের মুখোমুখি হতে পারেন তিনি।

ভারতে গ্রেপ্তার পি কে হালদার এখন সেখানকার তদন্তকারী সংস্থার হেফাজতে রয়েছেন।

বাংলাদেশে পি কে হালদারের বিরুদ্ধে দুদকের ৩৪টি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়ার খবরে এসব বিষয়ে তদন্ত শেষ করতে তাকে পাওয়ার আশা করছেন সংস্থাটির কর্মকর্তারা।

উত্তর ২৪ পরগণার অশোকনগরের এ বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে ভারতীয় তদন্ত সংস্থা ইডি।

পি কে হালদার ও তার সহযোগীদের বিভিন্ন সম্পত্তিতে অভিযান চালানোর কথা শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। কিন্তু গ্রেপ্তারের পর আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য দেয়নি।

তিন দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে দ্বিতীয় দফায় মঙ্গলবার তাকে আরও ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার মধ্যে ভারত সরকারের তরফ থেকে প্রথমবার কোনো বক্তব্য দিলেন হাই কমিশনার দোরাইস্বামী।

বাংলাদেশের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিকে পি কে হালদারকে গ্রেপ্তার করা হয় জানিয়ে তিনি বলেন, “আপনাদের সরকার অপরদিকের এজেন্সিগুলোর সাথে তথ্য বিনিময় করেছে।

“এজেন্সি তথ্য যাচাই-বাছাই করেছে এবং পদক্ষেপ নিয়েছে। এখন একটি আইনি প্রক্রিয়া আছে, যা অনুসরণ করতে হবে। সুতরাং সেটাই ঘটবে। আর সেটা অসাধারণ কোনো ঘটনা নয়।

“সংঘবদ্ধ অপরাধ ও ব্যক্তিগত অপরাধীদের বিষয়ে ভারত-বাংলাদেশের সহযোগিতার স্বাভাবিক বিষয় এটা।”

এটা দুই দেশের সরকারের স্বাভাবিক সহযোগিতার অংশ জানিয়ে তিনি বলেন, “দুই প্রান্তের অপরাধ নিয়ে কাজ করার জন্য আইনি সহযোগিতা কার্যক্রমসহ প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতা দুদেশের মধ্যে রয়েছে।”

এর আগে ভারতীয় হাই কমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামীর সঙ্গে বৈঠকে পি কে হালদারকে দেশে ফেরানোর জন্য ভারত সরকারের সহযোগিতা চান পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।

আরও পড়ুন