শনিবার সকালে হোসেন নামের ১৯ বছর বয়সী ওই তরুণ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান।
পূর্বশত্রুতার জের ধরে আগের দিন ওই ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে বলে জানান মোহাম্মদপুর জোনের পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মৃত্যুঞ্জয় দে।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে মোহাম্মদপুর থানার ওসি আব্দুল লতিফ জানান, শুক্রবার সকালে বাসা থেকে বের হয়ে পাশের সড়কে হেঁটে যাওয়ার সময় চার-পাঁচজন তাকে ঘিরে ধরে এবং ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।
“পরে হোসেন তার বোনকে ফোন করে হামলাকারী পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে তাকে বাঁচানোর অকুতি জানায়।”
এরপর তার বোন এবং আশেপাশের লোকজন এসে প্রথম সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে এবং পরে মহাখালী বক্ষব্যাধি হাসপাতালে হোসেনকে নেয়। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর শুক্রবার ভোরে তার মৃত্যু হয়।
হোসেন পিকআপ চালানোর পাশপাশি বিভিন্ন কারখানায় চাকরি করে বলে স্বজনের বরাত দিয়ে ওসি লতিফ জানান।
“যাদের নাম হোসেন বলে গেছে বলে তার বোন দাবি করছে, তদন্তে জানা গেছে তারা স্থানীয় মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত। হোসেনের সাথে মাদক ব্যবসা নিয়ে কোনো রোধের জের ধরে এই হত্যার ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।”
রায়ের বাজার এলাকায় গৃহকর্মী বোনের বাসায় হোসেন থাকতেন বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা।
এ হত্যার ঘটনায় মামলা হলেও পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।