গ্রেপ্তাররা হলেন- আলী আজগর লেদা ও মো. ইসমাইল হোসেন।
র্যাব-৭ এর সহকারী পরিচালক নুরুল আবসার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, হত্যাকাণ্ডের পর দুজনই চট্টগ্রাম থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন। হত্যাকাণ্ডের পর ছায়াতদন্ত শুরু করে র্যাব।
“বুধবার র্যাব নিশ্চিত হয়, আজগর চৌদ্দগ্রামে ও ইসমাইল চান্দিনাতে অবস্থান করছেন। রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।”
গ্রেপ্তার দুজনকে চট্টগ্রাম এনে ডবলমুরিং থানায় সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
গত ৭ মে রাতে পাহাড়তলী রেলওয়ে স্টেশন জামে মসজিদের কাছে পিটিয়ে গুরুতর জখম করা হয় মোটর মেকানিক ফরিদকে।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোরে তার মৃত্যু হয়।
ঘটনার পরদিন রাতে ফরিদের বোন মোসা. রাশেদা আক্তার ডবলমুরিং থানায় ১১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন।
এজাহারে নাম থাকা আসামিরা হলেন- আলাউদ্দিন আলো, দিদারুল আলম ওরফে টেডি দিদার, মো. শাহজাহান, আলাউদ্দিন ওরফে মনা, হৃদয় ওরফে চেরাগ আলী, আলী আজগর লেদা, মো. সোহাগ, মো. ফেরদৌস, মো. সালাউদ্দিন, মো. আল আমীন, ও নাজিম উদ্দিন রাশেদ।
এছাড়া মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ১৫- ১৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে দিদার (৩৫) ও হৃদয়কে (২৮) হত্যাকাণ্ডের পর গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মামলার বিবরণ অনুযায়ী, রেলের জায়গায় ফরিদের তৈরি দোকানের ভাড়ার টাকা আদায় নিয়ে আলো ও টেডি দিদারের সঙ্গে ফরিদের বিরোধ চলছিল। এর জেরে বিভিন্ন সময়ে টাকা দাবি করছিল আসামিরা। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানানোর পর ফরিদের ওপর পরিকল্পিত হামলা করা হয়।