ইছামতি তীরের ৪৩ দখলদারের স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ

পাবনায় ইছামতি নদী তীরের ৪৩ ব্যক্তির অবৈধ দখলে থাকা জমির স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 April 2022, 12:18 PM
Updated : 24 April 2022, 12:58 PM

এ বিষয়ে করা রিট আবেদন খারিজ করে এবং স্থিতাবস্থা তুলে নিয়ে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার হাই কোর্ট বেঞ্চ রোববার এ আদেশ দেয়।

ইছামতির তীরে নিজেদের অবৈধ স্থাপনা টিকিয়ে রাখতে পাবনা সদরের ওই ৪৩ ব্যক্তি নদী নিয়ে উচ্চ আদালতের একটি রায় সংশোধন চেয়ে এ আবেদন করেছিল।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী অনীক আর হক ও রওসন আলম খাঁন। অপরপক্ষে ছিলেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।

পাবনা সদরে ইছামতির চারটি মৌজায় থাকা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে জেলা প্রশাসক নোটিস দিলে ৪৩ ব্যক্তি ২০২০ সালে তা চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে রিট করেন।

সেই রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ওই বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি আদালত নদী কমিশনকে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়ে উচ্ছেদ কার্যক্রমে স্থিতাবস্থা দেয়।

সেই আদেশের পর নদী কমিশনের প্রতিনিধিরা সরেজমিনে ঘুরে এসে আদালতে প্রতিবেদন দেয়। সেখানে বলা হয়, সি এস রেকর্ড অনুযায়ী ৪৩ রিট আবেদনকারীর দখলে থাকা জায়গা ইছামতির।

পরে আদালত রিট খারিজ করে দিলে ৪৩ রিট আবেদনকারী নদী কমিশনের প্রতিবেদন চ্যালেঞ্জ করে আরেকটি রিট করেন। ওই রিটও খারিজ করে দেয় হাই কোর্ট।

এরপর ২০২০ সালেই ২০০৯ সালে ঢাকার চার নদী (বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, তুরাগ ও বালু) নিয়ে সর্বোচ্চ আদালতের দেওয়া রায় সংশোধন চেয়ে আবেদন করেন তারা।

আবেদনকারীরা দাবি করেন, আর এস রেকর্ড অনুযায়ী তারা ওই জমির মালিক। সে আবেদনটিই খারিজ করে রোববার স্থিতাবস্থা তুলে আদেশ দিল আদালত।

ঢাকার পাশের চার নদীর মামলায় সীমানা সংক্রান্ত আদেশের বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়ে এ রায়ে বলা হয়, নদীর সীমানা সিএস রেকর্ড অনুযায়ী ধরতে হবে। আপিল বিভাগ সে রায় বহাল রেখেছে।

অন্যদিকে তুরাগ নদীর মামলায় আপিল বিভাগ নদীর সীমানা সিএস রেকর্ড অনুযায়ী জরিপের নির্দেশ দিয়েছেন। সুতরাং এ রায় সংশোধনের কোনো সুযোগ নেই।

আইনজীবী মনিজল মোরসেদ বলেন, “এ রায়ের পর ইছামতি পাড়ের ৪৩ জন ব্যক্তির অবৈধ স্থাপনা ও দখল উচ্ছেদে আইনগত কোনো বাধা থাকল না।”