তবে তার বিরুদ্ধে আরও মামলা থাকায় এখনই মুক্তি মিলছে না বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী আহসান হাবীব।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার ঢাকার অতিরিক্ত মুখ মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নূর, মহানগর হাকিম দেবদাস অধিকারীসহ কয়েকজন বিচারক ওই নয় মামলায় রাসলের জামিন মঞ্জুর করেন।
“নেগোশিয়েবল ইনস্ট্রুমেন্ট অ্যাক্টের এ মামলাগুলো সবই জামিনযোগ্য ধারার, সে কারণে আদালত তাকে জামিন দিয়েছে," বলেন আইনজীবী হাবীব।
রাসেলের বিরুদ্ধে আর কয়টি মামলা রয়েছে জানতে চাইলে হাবীব বলেন, “অনেক মামলা। নতুন নতুন মামলা হচ্ছে। এই মুহূর্তে মামলার সংখ্যাটা নির্দিষ্ট করে বলছি পারছি না।”
গাড়ি, মোটরসাইকেল, গৃহস্থালির আসবাবপত্র, স্মার্ট টিভি, ফ্রিজ, এসি, ওয়াশিং মেশিনসহ বিভিন্ন পণ্য অর্ধেক দামে বিক্রির প্রলোভন দেখিয়ে গ্রাহকদের নজরে এসেছিল ইভ্যালি।
তাদের চমকদার ‘অফারের’ প্রলোভনে অনেকেই বিপুল অংকের টাকা অগ্রিম দিয়ে পণ্যের অর্ডার করেছিলেন পরে বেশি দামে বিক্রি করে ভালো লাভ করার আশায়।
কিন্তু মাসের পর মাস অপেক্ষা করেও তাদের অনেকে পণ্য বুঝে পাননি, ইভ্যালি অগ্রিম হিসেবে নেওয়া তাদের টাকাও ফেরত দেয়নি। এভাবে প্রলোভনে পড়ে ব্যাংক ঋণ, ধার-দেনা করে, জমি বা গয়না বেচে সেই টাকা ইভ্যালিতে লগ্নি করে এখন মহাবিপদে আছেন বহু গ্রাহক।
এরকমই এক গ্রাহকের করা মামলায় গত বছর ১৬ সেপ্টেম্বর রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। রিমান্ডে নিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়।
আট মাস কারাবাসের পর সবগুলো মামলায় জামিন পেয়ে গত ৬ এপ্রিল কারামুক্ত হন শামীমা নাসরিন। তবে তার স্বামীকে আরও অপেক্ষায় থাকতে হবে।
পুরনো খবর