বুধবার বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের একক বেঞ্চ জামিন আবেদনের শুনানি শেষে এ আদেশ দেয়।
মিজানুর রহমানের আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব শফিক বলেন, “দুই মাসের জামিন দিয়েছে আদালত। তবে আরেকটি মামলায় তার জামিন প্রশ্নে রুল বিচারাধীন থাকায় আপাতত তিনি বের হতে পারবেন না।”
সম্পদের তথ্য গোপন ও অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং দুদক কর্মকর্তার সঙ্গে ঘুষ লেনদেনের অভিযোগের দুই মামলায় সাময়িক বরখাস্ত পুলিশ কর্মকর্তা মিজানুর রহমানের জামিন প্রশ্নে গত বছর ৮ জুন রুল দিয়েছিল হাই কোর্ট।
একটি মামলা থেকে বাঁচার আশায় দুর্নীতি দমন কমিশনের পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ দেওয়ার দায়ে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ মিজানকে তিন বছরের দণ্ড দেয়।
গত সোমবার ওই তিন বছরের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার পাশাপাশি জামিন আবেদ করেন মিজান। গত ৬ এপ্রিল হাই কোর্ট ওই আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে এবং তার জামিন আবেদনের শুনানির জন্য বুধবার দিন ধার্য করে।
কী যুক্তিতে জামিন চাওয়া হয়েছিল জানতে চাইলে মিজানের আইনজীবী বলেন, “এ মামলায় তার তিন বছরের সাজা হয়েছে। তার মধ্যে দুই বছর ৮ মাস জেল খেটে ফেলেছেন।
“বাকি সাজা যদি তিনি খেটেই ফেলেন তাহলে আপিল শুনানি করে তো লাভ নাই। সম্ভবত এ বিবেচনাতেই আদালত জামিন দিয়েছেন।”
শুনানিতে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা এই জামিন আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করব।”
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হিসেবে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল গিয়াস উদ্দিন আহমেদ।
এই মামলায় অর্থ পাচারের অভিযোগ থেকে খালাস পাওয়া পুলিশের বরখাস্ত এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দণ্ড চেয়ে দুদকের করা আপিল শুনানির জন্য গত ১০ এপ্রিল গ্রহণ করেছে হাই কোর্টের আরেকটি বেঞ্চ।
ওইদিন এ মামলায় ঢাকার বিশেষ জজ আদালতের দেওয়া রায়ের নথি তলব করেছে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাই কোর্ট বেঞ্চ।
মামলায় ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের বরখাস্ত হওয়া পরিচালক এনামুল বাছিরকে আট বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ৮০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের সাজা দেওয়া হয়।
এনামুল বাছিরের অর্থদণ্ড স্থগিত
ঘুষ লেনদেনের মামলায় আট বছরের দণ্ডের বিরুদ্ধে দুদকের বরখাস্ত পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরের আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছে হাই কোর্ট।
এ মামলায় তার বিরুদ্ধে ৮০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড স্থগিত করার পাশাপাশি রায় সংক্রান্ত বিচারিক আদালতের যাবতীয় নথিও তলব করা হয়েছে।
বাছিরের আবেদনের শুনানি শেষে বুধবার বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের একক হাই কোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেয়।
আদালতের বাছিরের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. জাহেদুল আলম চৌধুরী, দুদকের আইনজীবী ছিলেন মো. খুরশীদ আলম খান এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল গিয়াস উদ্দিন আহমেদ।