একই সাথে এ মামলায় গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালতের দেওয়া রায়ের নথি তলব করা হয়েছে।
দুদকের করা আবেদনের ওপর শুনানি শেষে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাই কোর্ট বেঞ্চ রোববার এ আদেশ দেয়।
এ মামলায় সাবেক এই ডিআইজির তিন বছরের সাজা হলেও অর্থ পাচারের অভিযোগ থেকে তাকে খালাস দেয় বিচারিক আদালত। ওই খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে দুদক আপিল করে গত বৃহস্পতিবার।
একই মামলায় এনামুল বাছির সাজা পেলেও ডিআইজি মিজান কীভাবে খালায় পায়- সেই প্রশ্ন রেখেছে দুদক।
আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
খুরশীদ আলম পরে বলেন, “বিশেষ জজ আদালতে যে রায় হয়েছে, সেখানে দণ্ডবিধির ১৬৫ ধারায় ডিআইজি মিজানকে তিন বছরের দণ্ড দিয়েছে, কিন্তু তাকে মানিলন্ডারিং থেকে খালাস দিয়েছে।
“এনামুল বাছিরকে মানি লন্ডারিংয়ে সাজা দেওয়া হল, কিন্তু কোনো যুক্তি ছাড়াই ডিআইজি মিজানকে খালাস দেওয়া হল, এটা কীভাবে হয়! দুই ব্যক্তির মাধ্যমে তো এ কাজটি (ঘুষ লেনদেন) সম্পন্ন হয়েছে। সেটা আদালতে প্রমাণও হয়েছে। আদালত আমাদের যুক্তি শুনেছেন, শুনে মামলার রায়ের নথি তলব করেছেন।”
খুরশিদ আলম খান জানান, পুলিশের বরখাস্ত কর্মকর্তা মিজানুরের দণ্ড থেকে খালাস চেয়ে আপিল এবং দুদকের সাজা বৃদ্ধির আপিল আদালতে একসঙ্গে শুনানি হবে।
একটি মামলা থেকে বাঁচার আশায় দুদকের পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ দিয়েছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা মিজানুর রহমান। পরে তাদের দুজনকেই বরখাস্ত করা হয়।
ওই মামলার রায়ে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম দুইজনকে সাজা দেন।
রায়ে মিজানকে দণ্ডবিধির ১৬৫ ধারায় ৩ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আর এনামুল বাছিরকে দণ্ডবিধির ১৬১ ধারায় ৩ বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ডের পাশাপাশি মুদ্রা পাচার আইনের ৪ ধারায় ৫ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড, ৮০ লাখ জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের সাজা দেওয়া হয়।
গত সোমবার ওই তিন বছরের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন মিজান। বুবধার হাই কোর্ট ওই আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে এবং তার জামিন আবেদনের শুনানির জন্য ১৩ এপ্রিল দিন ধার্য করে।