ঢাকার ৬ নম্বর বিশেষ আদালতে বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামান এ শুনানির জন্য আগামী ১৩ এপ্রিল নতুন তারিখ রেখেছেন।
সম্রাটের আইনজীবী এহসানুল হক বলেন, “সম্রাট অসুস্থ থাকায় তাকে আদালতে হাজির করা হয়নি। এ কারণে বিচারক শুনানির নতুন তারিখ রেখেছেন।”
গেল ২২ মার্চ ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ কেএম ইমরুল কায়েশ দুদকের দেওয়া অভিযোগপত্র গ্রহণ করে মামলাটি বিচারের জন্য ঢাকার ৬ নম্বর বিশেষ জজ আদালতে বদলির আদেশ দেন। সেইসঙ্গে অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য ৩১ মার্চ দিন ঠিক করে দেন।
২ কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর সম্রাটের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম।
মামলাটি তদন্ত করে এক বছর পর ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের ওই কর্মকর্তা।
অভিযোগে বলা হয়, বিভিন্ন ‘অবৈধ ব্যবসা ও অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে’ অর্জিত অর্থে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের মালিক হয়েছেন সম্রাট।
মতিঝিল ও ফকিরাপুল এলাকায় তিনি ১৭টি ক্লাব নিয়ন্ত্রণ করতেন এবং সেগুলোতে লোক বসিয়ে মোটা অঙ্কের কমিশন নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে উল্লেখ করে অভিযোগপত্রে বলা হয়, এর মধ্যে অনেকগুলো ক্লাবে ক্যাসিনোর কারবার চলত।
‘অবৈধভাবে’ অর্জিত অর্থ দিয়ে সম্রাট ঢাকার গুলশান, ধানমণ্ডি, উত্তরাসহ বিভিন্ন স্থানে একাধিক ফ্ল্যাট, প্লট কিনেছেন এবং বাড়ি করেছেন; এছাড়া সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, দুবাই ও যুক্তরাষ্ট্রে নামে-বেনামে তার এক হাজার কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে বলে দুদকের ভাষ্য।
অবৈধভাবে ক্যাসিনো চালানোয় জড়িত থাকার অভিযোগে ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি সম্রাট এবং তার সহযোগী আরমানকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ওই দিনই কাকরাইলে সম্রাটের কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে অবৈধ অস্ত্র, গুলি, মাদক, এবং ক্যাঙ্গারুর চামড়া উদ্ধার করে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বন্যপ্রাণীর চামড়া রাখায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে তাৎক্ষণিকভাবে সম্রাটকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে তার বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে দুটি মামলা করে র্যাব।