‘শিশুবক্তা’ মাদানীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণ পেছাল

‘রাষ্ট্রবিরোধী’ ও ‘উসকানিমূলক’ বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে মতিঝিল থানার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় ‘শিশুবক্তা’ হিসেবে পরিচিত রফিকুল ইসলাম মাদানীসহ দুজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ পিছিয়েছে।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 March 2022, 01:23 PM
Updated : 30 March 2022, 01:24 PM

বুধবার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেন আগামি ১১ মে সাক্ষ্য নেওয়ার নতুন দিন ধার্য করেন। আলোচিত এ মামলায় এদিন সাক্ষ্য গ্রহণের প্রথম তারিখ ছিল।

এর আগে রফিকুলকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হলেও সাক্ষীদের হাজির করতে পারেনি রাষ্ট্রপক্ষ। পরে রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি নজরুল ইসলাম শামীম সময় আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করে।

রাষ্ট্রপক্ষের এ আইনজীবী বলেন, “রাষ্ট্রপক্ষ সাক্ষীদের আদালতে এসে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য সমন পাঠিয়েছে, কিন্তু কোনো সাক্ষী আজ আদালতে হাজির না হওয়ায় নতুন তারিখের জন্য আবেদন করেছি, আদালতে সময়ের আবেদন মঞ্জুর হয়েছে।”

এর আগে ২২ ফেব্রুয়ারি দুই আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেওয়া হয়। এ মামলার অপর আসামি হলেন- মাহমুদুল হাসান ওরফে মুর্তজা।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) রেজাউল করিম গত বছরের ২১ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

সেখানে মাদানী ও মাহমুদুলকে আসামি করে মোহাম্মদ আমজাদ, মো. তাওহীদ ইসলাম ও এইচ এম লোকমান হোসেন নামে তিনজনের নাম বাদ দেওয়ার আবেদন জানানো হয়। কারণ হিসেবে বলা হয়, তাদের ঠিকানা পাওয়া যায়নি, ফলে গ্রেপ্তারও করা সম্ভব হয়নি।

প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে মানহানিকর ও রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে গত বছরের ৮ এপ্রিল এ মামলা করেন ধানমণ্ডির ১৫ নম্বর মিতালী সড়কের বাসিন্দা সৈয়দ আদনান হোসেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, মাদানী ইউটিউবে ‘প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতিকে মানি না’, ‘সমাজ ব্যবস্থা, অর্থনৈতিক ব্যবস্থা, রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা সবকিছুতেই পাপ ও দুর্নীতিতে ভরে গেছে’- ইত্যাদি উসকানিমূলক বক্তব্য দেন।

এসব বক্তব্যের মাধ্যমে ‘রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি বা সুনাম ক্ষুণ্ন হয়েছে এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট হচ্ছে’ বলে অভিযোগ করা হয় মামলায়।

গাজীপুর মহানগরের বাড়িয়ালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পেছনে মারকাজুন নূর আল ইসলামিয়া নামে একটি আবাসিক মাদ্রাসা রয়েছে। হাফেজ রফিকুল ইসলাম মাদনী ওই মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ ও পরিচালক।

গত বছরের ৭ এপ্রিল নেত্রকোণার গ্রামের বাড়ি থেকে মাদানীকে আটক করে র‌্যাব। তার বিরুদ্ধে আরেও কয়েকটি মামলা রয়েছে।

আরও পড়ুন