নাগরিকদের ভোটাধিকার নিশ্চিতে জোর নতুন ইসির

ভোটার দিবসের অনুষ্ঠানে নাগরিকদের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার করেছেন নতুন নির্বাচন কমিশনের সদস্যরা।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 March 2022, 02:39 PM
Updated : 2 March 2022, 02:47 PM

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, স্বাধীনভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগে ভোটারদের পাশে থাকবেন তারা।

অন্য চারজন নির্বাচন কমিশনারও বলেছেন, সবার সহযোগিতা নিয়ে আগামীতে সফলভাবে নির্বাচন আয়োজনে আশাবাদী তারা।

আগামী সংসদ নির্বাচনের ভার কাঁধে পাওয়া হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন বুধবার জাতীয় ভোটার দিবসে নির্বাচন ভবনে আলোচনা সভার আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে সিইসি বলেন, “নাগরিকদের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে আমাদের অন্তত চেষ্টা করতে হবে। সফল হতে পারি আবার নাও হতে পারি, কিন্তু কোথাও ভোটাররা বাধা-বিপত্তির মুখোমুখি হলে আমরা তাদের পাশে দাঁড়াব, যাতে তারা ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে।”

নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান বলেন, “আমাদের সদিচ্ছার কোনো অভাব নাই, প্রচেষ্টারও অভাব নাই। এখন একটা নিখুঁত নির্বাচন আয়োজনে সকলের সহযোগিতা চাই।

“এ জন্য কমিশনের সকল সদস্যদের আন্তরিক হতে হবে অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। এটা আছে, কিন্তু নিশ্চিত করতে হবে।”

নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেন, “ভোটার, প্রার্থী এবং নির্বাচন সংশ্লিষ্ট প্রত্যেকে নিজের জায়গা থেকে সহযোগিতা করলে আমরা একটা ভালো নির্বাচন উপহার দিতে পারব।”

নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, “ভোটার দিবস পালনের উদ্দেশ্য ছিল এক বছরের পরিসংখ্যান প্রকাশ করা এবং কেউ যেন ভোটার তালিকা থেকে বাদ না পড়ে।

“সে জায়গায় আমরা অনেক সচেতন হয়েছি, কিন্তু ভোট প্রয়োগের ক্ষেত্রে আমরা সচেতন হইনি। বিগত অনেকগুলো নির্বাচনে ভোট কাস্টিং ছিল অনেক কম। বিশেষ করে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মাত্র ৫ শতাংশ ভোট পড়েছিল।”

“শুধু সরকারের সমালোচনা করলে হবে না। পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচিত করতে হলে নিজেকেই পছন্দের প্রার্থীকে ভোট প্রয়োগ করতে হবে,” বলেন ইসির সাবেক সচিব আলমগীর। 

নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান বলেন, “ভোটাধিকার শুধু একদিনের বিষয় নয়। যারা নতুন ভোটার হয়েছেন, তারা সারা বছরেই নানা নির্বাচনে ভোট দিয়ে থাকেন।”

সিইসি হাবিবুল আউয়াল বলেন, ভোট দেওয়া নাগরিকদের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বও। কোনো শাসক যদি ক্ষমতার অপব্যবহার  কিংবা অসদাচরণ করেন, তাহলে ভোটাররা তাদের সরিয়ে দিতে পারবে।

অন্য নির্বাচন কমিশনারদের উদ্দেশে তিনিবলেন, “আমরা কাজ করলেই জনগণ বুঝে যাবে আমরা কতটা সফল। পাবলিক পারসেপশন সম্পর্কে আমাদের সচেতন হতে হবে, দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন হতে হবে।

“অল্প সময়ের সুখের জন্য প্রলোভনে পড়া যাবে না। সাহসের সাথে প্রভাব ও প্রলোভনমুক্ত থেকে কাজ করতে হবে এবং জনগণের ভোটাধিকার রক্ষা করতে হবে।”

সভায় সভাপতির বক্তব্যে ইসি সচিব হুমায়ুন কবীর খোন্দকার বলেন, “জনগণকে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগে সচেতন করে তুলতে হবে। জাতীয় বা স্থানীয় পর্যায়ে সব মানুষকে সচেতন করে তুলতে পারলে গনতন্ত্র, সুশাসন এবং নাগরিকদের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে।”

অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, আদমজী ক্যান্টেনমেন্ট কলেজ এবং শহীদ আনোয়ার গার্লস কলেজের নতুন ভোটার হওয়া ২১ জন শিক্ষার্থীর হাতে স্মার্ট কার্ড তুলে দেওয়া হয়।

এছাড়া নির্বাচনী ব্যবস্থায় সফলতার করণে তিনজন কর্মকর্তাকে জাতীয় নির্বাচনী পদক ২০২২ দেওয়া হয়। তারা হলেন- ঝালকাঠি সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শারমিন আফরোজ, ঢাকা জেলা জ্যেষ্ঠনির্বাচন কর্মকর্তা মুনির হোসাইন খান এবং রাজশাহী বিভাগের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম।