স্বাস্থ্যের সাবেক ডিজি আজাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ, শুনানি ১৬ মার্চ

দুদকের মামলায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণের মাধ্যমে মামলা বিচারের জন্য আমলে নিয়েছেন ঢাকা মহানগর আদালত।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Feb 2022, 01:22 PM
Updated : 22 Feb 2022, 01:22 PM

মঙ্গলবার মামলাটি আমলে নিয়ে জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ কেএম ইমরুল কায়েশ আগামী ১৬ মার্চ অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন নির্ধারণ করেন। একই সঙ্গে মামলাটি ঢাকার ৬ নম্বর বিশেষ ট্রাইবুনালে স্থানান্তর করা হয়।

আদালতে দুদকের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা জুলফিকার আলী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।

এ মামলার অপর পাঁচ আসামি হলেন- রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ ওরফে সাহেদ করিম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক ডা. আমিনুল হাসান, উপ পরিচালক ডা. মো. ইউনুস আলী, সহকারী পরিচালক ডা. মো. শফিউর রহমান ও গবেষণা কর্মকর্তা ডা. মো. দিদারুল ইসলাম।

আসামিদের মধ্যে সাহেদ কারাগারে এবং বাকিরা জামিনে আছেন। এদিন তারা আদালতে হাজিরা দেন।

এর আগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর আবুল কালাম আজাদসহ ছয়জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ পরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী।

মামলার এজাহার অনুযায়ী, আসামিদের বিরুদ্ধে পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে লাইসেন্স নবায়নবিহীন বন্ধ রিজেন্ট হাসপাতালকে ডেডিকেটেড কোভিড হাসপাতালে রূপান্তর এবং সরকারি প্রতিষ্ঠান নিপসমের ল্যাবে ৩ হাজার ৯৩৯ জন কোভিড রোগীর নমুনা বিনামূল্যে পরীক্ষা করার অভিযোগ আনা হয়েছে।

এ থেকে তারা অবৈধ পারিতোষিক বাবদ রোগীপ্রতি সাড়ে তিন হাজার টাকা হিসেবে মোট এক কোটি ৩৭ লাখ ৮৬ হাজার ৫০০ টাকা গ্রহণ করেন।

এছাড়া অভিযোগপত্রে রিজেন্ট হাসপাতালের মিরপুর ও উত্তরা শাখার চিকিৎসক, নার্স, ওয়ার্ড বয় ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের খাবার খরচ বরাদ্দের বিষয়ে এক কোটি ৯৬ লাখ ২০ হাজার টাকার মাসিক চাহিদা তুলে ধরাসহ সমঝোতা স্মরকের খসড়া স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়ার অভিযোগ আনা হয়।

তাদের বিরুদ্ধে সর্বমোট ৩ কোটি ৩৪ লাখ ৬ হাজার ৫০০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়।

গত বছর ২৩ সেপ্টেম্বর দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী। সেখানে আবুল কালাম আজাদকে আসামি করা হয়নি। তবে তদন্তে নাম আসায় অভিযোগপত্র তার নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়।