মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক সৈয়দ ইফতেখার হোসেন সোমবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে এ মামলার অভিযোগপত্র জমা দেন।
আদালত পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন শাখার এসআই আব্দুর রউফ মঙ্গলবার জানান, আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির তারিখ ধার্য করা হয়েছে।
অভিযোগপত্রে বাকি আসামিরা হলেন- সুমন বেপারী, মোহাম্মদ তাহের, মো. গোলাম কিবরিয়া খান, মোহাম্মদ মুরাদ, টিটু শেখ ওরফে টিটু, মোহাম্মদ রকি তালুকদার, নূর মোহাম্মদ হাসান, মোহাম্মদ শরীফ, ইকবাল হোসেন, মো. তরিকুল ইসলাম ইমন, তুহিন মিয়া, মো. হারুনুর রশিদ, মো. শফিকুল ইসলাম শফিক ও ইব্রাহিম সুমন।
গতবছর ১৬ মে বিকালে মিরপুর ১২ নম্বর সেকশনের ৩১ নম্বর সড়কে সাহিনুদ্দিনকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয় তার ছেলের সামনে। ওই ঘটনায় তার মা আকলিমা বেগম ২০ জনকে আসামি করে পল্লবী থানায় একটি মামলা করেন।
ঢাকার পল্লবীর উত্তর কালশীর সিরামিক এলাকার বাসিন্দা আকলিমার দুই ছেলের মধ্যে সাহিনুদ্দিন ছোট। বাউনিয়া মৌজার উত্তর কালশীর বুড়িরটেকের আলীনগর আবাসিক এলাকায় ১০ একর জমি রেখে গেছেন আকলিমার প্রয়াত স্বামী। সেই জমি দখল করতেই তার সন্তানকে খুন করা হয়েছে বলে আকলিমার অভিযোগ।
তিনি বলেছিলেন, ওই জমি দখলের চেষ্টা করে আসছিলেন হাভেলি প্রপার্টি ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের মালিক, লক্ষ্মীপুরের সাবেক এমপি এম এ আউয়াল। তিনি ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান ও তরীকত ফেডারেশনের সাবেক মহাসচিব।
মামলা হওয়ার পর আউয়ালকে ভৈরবের একটি মাজার থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। পাশাপাশি আরও ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। এছাড়া মামলার দুই আসামি কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন।
পুরনো খবর