ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. ইকবাল হোসেন রোববার এ আদেশ দেন।
দুদকের প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর জানান, সম্পদের তথ্য গোপনের দায়ে পারভীনকে তিন বছর এবং জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আরও তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া ‘অবৈধ উপায়ে অর্জিত’ এক কোটি ২৬ লাখ ৩৩ হাজার ৪৩১ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
দুই ধারার সাজা একত্রে চলবে; ফলে তাকে সব মিলিয়ে তিন বছর কারাভোগ করতে হবে।
রায় ঘোষণার সময় পারভীন আক্তার আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
২০১৬ সালের ২২ নভেম্বর একটি পত্রিকায় ‘মালি থেকে কোটিপতি সেলিম মোল্যা’ শিরোনামে নামে একটি সংবাদ প্রতিবেদনের সূত্র ধরে অনুসন্ধানে নামে দুদক। পরের বছর ১৮ অক্টোবর পারভীন আক্তারকে সম্পদ বিবরণী দাখিলে নোটিস পাঠানো হয়।
পারভীন ৩১ অক্টোবর সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিল করেন। কিন্তু অনুসন্ধান করে দুদকের পক্ষ থেকে বলা হয়, সম্পদ বিবরণীতে তিনি ২৭ লাখ ৯৫ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন। এছাড়া তার নামে থাকা এক কোটি ২৬ লাখ ৩৩ হাজার ৪৩১ টাকার কোনো বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি।
ওই ঘটনায় দুদকের উপ-পরিচালক ফরিদুর রহমান ২০১৮ সালের ১৮ মার্চ রমনা থানায় মামলা করেন। সেলিম মোল্যার বিরুদ্ধেও রমনা থানায় পৃথক মামলা করে দুদক।
পারভীন আক্তারের মামলাটি তদন্ত করে ২০১৯ সালেরর ২৩ অক্টোবর উপ-পরিচালক কে এম মিছবাহ উদ্দিন আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০২০ সালের ১৮ অগাস্ট আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালে রাষ্ট্রপক্ষে ছয়জনের সাক্ষ্য শুনে বিচারক রায় দিলেন।