সিনহা হত্যা মামলার ‘ডেথ রেফারেন্স’ হাই কোর্টে

সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য রায়সহ নথিপত্র ‘ডেথ রেফারেন্স’ হিসেবে পাঠানো হয়েছে হাই কোর্টে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 Feb 2022, 11:40 AM
Updated : 8 Feb 2022, 11:40 AM

সুপ্রিম কোর্টের বিশেষ কর্মকর্তা সাইফুর রহমান মঙ্গলবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এ তথ্য্য জানান।

তিনি বলেন, “এখন যাচাই বাছাই হবে, অন্যান্য আরো কাজ আছে, সেগুলো করতে হবে। এরপর বলা যাবে শুনানি কবে হবে।”

নিম্ন আদালতের বিচারে কারো ফাঁসির রায় হলে দণ্ডিতরা আপিল না করলেও সেটা সরাসরি কার্যকর করা যায় না। সেজন্য হাই কোর্টের অনুমতি লাগে। এই অনুমতির জন্যই বিচারিক আদালত থেকে উচ্চ আদালতে পাঠানো হয় ডেথ রেফারেন্স।

সিনহা হত্যা মামলায় টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের সাবেক পরিদর্শক লিয়াকত আলীর ফাঁসির রায় হয়েছে। তাদের মৃত্যুদণ্ডের কারণেই হাই কোর্টে রায়টি এসেছে ডেথ রেফারেন্স হিসাবে।

এর দাপ্তরিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে ক্রমানুসারে তা শুনানির জন্য প্রস্তুত করা হয়। মৃত্যুদণ্ড বা অন্যান্য দণ্ডে দণ্ডিতরা বা অন্য যে কোনো পক্ষ আপিল করলে সেই শুনানিও একসঙ্গে হয়।

এই শুনানির পর হাই কোর্ট রায় দিলে যে কোনো পক্ষ চাইলে তার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আপিল করতে পারে। সেখানে চূড়ান্ত নিষ্পত্তির পরও যদি কারো মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকে, তাহলে সেটা কার্যকরের আগে তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইতে পারবেন। এরপর আসবে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের প্রসঙ্গ।

২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের শামলাপুর চেকপোস্টে গুলি করে হত্যা করা হয় সিনহাকে। সেনাবাহিনী থেকে স্বেচ্ছায় অবসর নেওয়ার পর কয়েকজন তরুণকে সঙ্গে নিয়ে ভ্রমণ বিষয়ক তথ্যচিত্র বানানোর জন্য কক্সবাজারে গিয়েছিলেন তিনি।

টেকনাফে মাদকবিরোধী অভিযানের নামে ওসি প্রদীপের বন্দুকযুদ্ধে ছদ্মাবরণে হত্যা এবং চাঁদাবাজির ঘটনা জেনে যাওয়ায় সিনহাকে পরিকল্পিতভাবে প্রদীপ হত্যা করেন বলে আদালতের রায়ে উঠে এসেছে।

গত ৩১ জানুয়ারি ওই রায়ে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল প্রদীপ ও লিয়াকতকে মৃত্যদণ্ড দেওয়ার পাশাপাশি তিন পুলিশ সদস্য এবং পুলিশের তিন সোর্সকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।

মামলার ১৫ আসামির মধ্যে বাকি চার পুলিশ সদস্য এবং তিন এপিবিএন সদস্যকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে রায়ে।

বিচারিক আদালতে দ্রুততার সাথে নিষ্পত্তি হওয়া মামলাটি উচ্চ আদালতেও শুনানির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবে কি-না, এমন প্রশ্নে সুপ্রিম কোর্টের বিশেষ কর্মকর্তা সাইফুর রহমান বলেন, “এটা এখনই বলা যাচ্ছে না।”

পুরনো খবর-